নিউজ ডেষ্ক- গোপালগঞ্জ জেলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠি মাছ চাষে সাথে জড়িত। আর মাছ চাষিদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এলো পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু চালু হলে সরাসরি ঢাকার আড়তে নিয়ে মাছ বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারবে বলে আশা করছেন জেলার ১৭ হাজার মাছ চাষি।
জেলার চাষিরা বলছেন, বর্তমানে জেলার উৎপাদিত মাছ বিভিন্ন জেলায় মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে পাঠানো হয়। যার ফলে ন্যায্য দাম পাই না। পদ্মা সেতু চালু হলে সরাসরি ঢাকার আড়তে নিয়ে মাছ বিক্রি করতে পারলে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় করা য়ারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
একটি জরিপে দেখা যায়, জেলায় প্রায় ৪০ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি মাছ গড়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। সে হিসেবে এ জেলায় ৮১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার মাছ উৎপাদিত হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে চাষিরা সরাসরি ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি কেজি মাছে তারা অন্তত ৫০ টাকা বেশি পাবেন। সে হিসেবে গোপালগঞ্জে মাছে আয় ২০৫ কোটি টাকা বাড়বে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের মৎস্যচাষি হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিলের শ্যাওলা, গমের ভূষি ও চালের কুড়া দিয়ে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করি। তাই আমাদের মাছের স্বাদ নদী বা বিলের মাছের মতই। সারাদেশে আমাদের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা সরাসরি ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে পারব। এতে আমরা প্রতি কেজি মাছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা বেশি পাব। বেশি দামে মাছ বিক্রি করে পরিবহন খরচ বাদেও বছরে আরও অন্তত ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারব।
ফড়িয়া জামাল শেখ বলেন, গোপালগঞ্জের মাছ আমরা খামামির কাছ থেকে কিনে সাধারণত ফরিদপুরের ভাঙ্গা, ঢাকা, খুলনা ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় চালান করি। এতে আমাদের পরিবহন খরচ বাদে কিছু লাভ থাকে। এখন পদ্মা সেতু খুলে দিলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হবে। তবে খামারি সরাসরি মাছ বিক্রি করে লাভবান হবেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বলেন, সেতু চালু হলে কৃষক মাছ সরাসরি ঢাকা বিক্রি করতে পারলে প্রতি কেজি মাছে তারা কমপক্ষে ৫০ টাকা বেশি পাবেন। এতে তাদের আয় বাড়বে ২০৫ কোটি টাকা।