নিউজ ডেস্ক: বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ দেখতে দেখতে শেষ হতে চলেছে। আজ শুরু হয়েছে পদ্মা সেতুর সড়ক পথের কার্পেটিং (বিটুমিনাস ওয়ার্ক)। কার্পেটিংয়ের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়েছে পদ্মা সেতুর সড়ক পথের কার্পেটিং (বিটুমিনাস ওয়ার্ক)। সকালে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কার্পেটিংয়ের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এদিন সকাল থেকেই এই কাজের দেখাশোনা করছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ দেখতে দেখতে শেষ হতে চলেছে। এরই মাঝে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। প্রায় ৮৯ শতাংশ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। আর নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয়। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। এরপর সেতুর স্প্যানের ওপর কংক্রিটের তৈরি রোড স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী বছরের জুন মাসের আগেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী হবে। এরপর পারাপার হবে স্বপ্ন, পারাপার হবে অমিত সম্ভাবনা। চলাচল হবে গতিময়। বাড়বে প্রবৃদ্ধি।
উল্লেখ্য, দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন আর নিচ দিয়ে রেল। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীসহ সারা দেশের যোগাযোগ সহজ হবে।