নিউজ ডেস্ক- মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন মুরাদ হাসান। আজ (মঙ্গলবার) নিজ সাক্ষরিত একটি পদত্যাগপত্র ই-মেইলযোগে মন্ত্রণালয়ে পাঠান তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা এ পদত্যাগপত্রে মুরাদ হাসান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।
এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।
এর আগে আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। বর্তমানে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
রোববার রাতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ ও ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে আগে থেকেই তীব্র সমালোচনার মধ্যে ছিলেন এই মুরাদ।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্যকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ‘নারীবিদ্বেষী’ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে অনেকেই। আর এরই মাঝে ফাঁস হয় একটি ফোনালাপ।
জানা যায়, এই কথোপকথনটি ডা. মুরাদ হাসান ও জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। ফোনালাপে থাকা চিত্রনায়ক ইমন ইতোমধ্যে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দিতেও শোনা যায়। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারন করেন মুরাদ। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি।