নিউজ ডেষ্ক- রাজশাহীর বানেশ্বর ইউনিয়নে আ.লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ঘোষণা দিয়েছেন, নৌকায় সিল না মারলে কোন ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর কেউ নির্দেশ না মানলে তালিকা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণার সময় এমনই বক্তব্য দেন তিনি। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিএনপি ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছে। উনারা ভোট বর্জন করার পরে আওয়ামী লীগের সাথে ভোটের মাঠে লড়াই করার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বসে আছে। বাস্তবে তারা বিএনপির ঢাল। আপনারা ভালো করে খোঁজ রাখবেন, কার বাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢুকছে। তার একটি তালিকা করবেন।
নির্বাচনের পরে আমরা তার ব্যবস্থা নেব। যদি তারা ভোট কেন্দ্রে যায়, তাহলে সোজা কথা নৌকা দেখিয়ে তারপর সিল মেরে দিবেন। তাইলে ভোট দিতে দিবেন, নইলে ভোটের মাঠে কাওকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর যদি তাও না পারেন ওই ব্যক্তির তালিকা করবেন। আমি বানেশ্বরে তার ব্যবস্থা করবো।”
ভোটের আগে সরকারি দলের প্রার্থীর এমন বক্তব্যে এলাকার মানুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মিথ্যা প্রচারণা করছে। আমরা তাদেরকে আমাদের নজরদারিতে রেখেছি। নির্বাচনের পরে মিথ্যা প্রচারণার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।”
পঞ্চম ধাপের তফসিল অনুসারে রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর ও বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি মাসের ৫ তারিখ।
দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কালাম বিএনপিতে থাকাকালে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণার জন্য বানেশ্বর বাজারে তৈরি নৌকা তার নেতৃত্বে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ভোট এলেই কিছু মানুষ মিথ্যা প্রচারণা শুরু করেন। আমি বিএনপির নই, আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সন্তান। দল আমাকে যোগ্য মনে করেন বলেই মনোনয়ন দিয়েছে।”