নিউজ ডেষ্ক- দাতিনা ও চিত্রা মূলত নোনাপানির মাছ। দেশের বঙ্গোপসাগর ও এর উপকূল অঞ্চলে মাছ দুটি পাওয়া যায়। কেননা নোনা পানি ছাড়া এই মাছ দুটি বাঁচতে পারেনা। কিন্তু নোনা পানি নয় এখন দাতিনা ও চিত্রা মাছের চাষ হবে পুকুরে। সম্প্রতি নোনাপানির মাছ দুটি পুকুরে চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট খুলনার পাইকগাছার নোনাপানি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। এতে করে বিলুপ্তপ্রায় এই মাছ দুটি বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে চাষের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
জানা যায়, নোনাপানি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্রপ্রধান মো. লতিফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট গবেষকদল দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সাগরের মাছকে পুকুরে চাষের উপযোগী করে তুলেছেন । গত এক বছরে গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে চাষকৃত চিত্রা মাছের ওজন হয়েছে ৮০ থেকে ১৫০ গ্রাম। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে চিত্রা মাছ চাষের পদ্ধতি হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও সারাদেশে চিত্রা মাছ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চাষিদের মধ্যে পোনা বিতরণ করা হচ্ছে।শ
গবেষণা দলের প্রধান মো. লতিফুল ইসলাম বলেন, দাতিনা ও চিত্রা মাছ নোনাপানির হলেও মিষ্টি পানিতেও চাষ করা সম্ভব। যদিও মিষ্টি পানিতে এই মাছ দুটির গ্রোথ কম তবে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে এই মাছ দুটির চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।