নিউজ ডেষ্ক- নির্বাচনের সময় যার ক্ষমতা ও শক্তি বেশি, তাকে কোনও কিছুতেই রোধ করা যায় না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। জয়ের জন্য সবাই নির্বাচন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যদি সক্ষমতা নিয়ে না দাঁড়াতে পারে, প্রতিদ্বন্দ্বী যদি সমকক্ষ না হয়, তাতে ভোট হয় না। এটা যুদ্ধক্ষেত্র, এখানে কেউ কোনও এথিক্স মানে না। যে যেভাবে পারে জিততে চায়। নির্বাচনে যার শক্তি বেশি, সেই সিল মারবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের ছাঁটাইয়ের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন করে রাজনৈতিক দল— জানিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমরা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না করি, তাহলে ঢাকায় বসে নির্বাচন কমিশন কোনোদিন কোনও কিছুই করতে পারবে না। তার ঘোষণায় কিছু যায় আসে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলি, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি কমিশন সবকিছুই স্বাধীন। প্রকারান্তরে কোনও কমিশনই স্বাধীন নয়। সব কমিশনই সরকার দ্বারা গঠিত হয়, সরকারের অধীনে কাজ করে।’
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন যে দিকে শক্তি দেখে, যার লোক দেখে, সেন্টারে যার লোক বেশি, প্রশাসন সেই দিকে চলে যায়। কিচ্ছু করার থাকে না, যে যত টাকাই দিক।’
রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, জনগণ যাকে সমর্থন করে, সে যখন ক্ষমতা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে, দুর্বল প্রার্থী কিছুই করতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমকক্ষ সব দল যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচন সঠিক ও সুষ্ঠু হবে। ইভিএম বা ব্যালটের নির্বাচনে যার শক্তি বেশি, সেই সিল মারবে। দিনেই সিল মারা হবে, ভোটার ও এজেন্টের সামনে সিল মারা হবে। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। কমিশন-টমিশন করে কিছু হবে না। রাজনৈতিক দল না চাইলে কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হলেও নিজস্ব জনবল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের ওপরে নির্ভর হতে তারা বাধ্য হয়। নির্বাচন কখনও কখনও প্রশ্নবিদ্ধ হয় বলে জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দাঁত আছে, তারা দন্তহীন বাঘ না, তারা সুষ্ঠু ভোট করতে পারে। এই আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। এই জন্য নির্বাচনি পুলিশ করা যেতে পারে। ইসির নিজস্ব কিছু পুলিশ থাকবে। দেশে টুরিস্ট পুলিশ আছে, শিল্প পুলিশ আছে। নির্বাচনি পুলিশও হতে পারে।’
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে কমিশন থেকে নিয়োগের অনুরোধ করেন।