নিউজ ডেষ্ক- প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানোর পর সচিবালয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বসার কক্ষের দরজায় লাগানো নামফলক থেকে মুছে ফেলা হয়ছে দেশজুড়ে আলোচিত মুরাদ হাসানের নাম।
আজ (বুধবার) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “মুরাদ হাসান আর প্রতিমন্ত্রী পদে নেই। ইতিমধ্যে তার লেখা নাম সরানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যে দপ্তরে ডা. মুরাদ হাসান বসতেন, সেখানে নতুন করে সংস্কার করে সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে। তার ইচ্ছাতেই তার কার্যালয়টি সাজানো হচ্ছিল বলে জানা যায়। এ জন্য সাময়িক সময়ের জন্য আরেকটি কক্ষে বসতেন তিনি। সেখানে তার নামফলক ছিল। সেখান থেকেই মুরাদের নামটি সরানো হয়েছে। যার ফলে সাজানো দপ্তরে বসার ইচ্ছাও শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো না তার।
অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে নিজের মন্ত্রিত্বটাও হারিয়ে বসেন ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর মঙ্গলবার তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর রাতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিত্বের পর দলীয় পদও হারান দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত এ নেতা। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেও বলে জানা যায়।
একই সঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এতে তিনি হারাতে পারেন জাতীয় সংসদের সদস্য পদও।
এদিকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন মুরাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে শাহবাগ থানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর অডিও ফাঁস হওয়ার পর সোমবার রাতেই ডা. মুরাদকে দল থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।