নারীর শরীর থেকে বের হয় ফুলের সুগন্ধ

ফিচার

নিউজ ডেষ্ক– শরীরে সুগন্ধি লাগাতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। বিভিন্ন ধরনের ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এসব সুগন্ধি মানুষের শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে। যা একজন মানুষকে রাখে ফুরফুরে মেজাজে। নিজেকে সুরভিত রাখার ইচ্ছে নতুন কিছু নয়।

ইতিহাসের পাতায় সঠিক দিনক্ষণ না থাকলেও প্রমাণ পাওয়া যায় মিশরীয়রা বিভিন্ন সুগন্ধী ও উদ্ভিদের নির্যাস তেল কিংবা চর্বিতে মাখিয়ে তারা এক ধরনের মলম তৈরি করত। তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় এই মলম গায়ে মাখত। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সুগন্ধ তৈরি হতো সুগন্ধী লতা ও গুল্ম পুড়িয়ে।

প্রাচীন পারস্যে সুগন্ধির ব্যবহার ছিল আভিজাত্য এবং মর্যাদার প্রতীক। আর প্রাচীন গ্রিসে এ সুগন্ধির ব্যবহার শুরু করেন বিশ্বজয়ী বীর আলেকজান্ডার। শুধু অভিজাত পরিবারের সদস্যরাই নন, ধীরে ধীরে সুগন্ধি ব্যবহার হয় সব ধরনের মানুষের মাঝে। তবে সুগন্ধি ব্যবহার করে ছাড়াই শরীর থেকেই বের হয় ফুলের সুঘ্রাণ।

আর ভিয়েতনামী সেই নারী হচ্ছেন ড্যাং থি তুওই। একদিন কাজ থেকে ফিরে তিনি গোসল করেন। এরপর হাত-পা পরিষ্কারের জন্য যত ঘষতে থাকেন ততই তীব্র এক সুঘ্রাণ পেতে থাকেন নিজের শরীর থেকে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারেন আশপাশ থেকে নয় বরং তার শরীর থেকেই বের হচ্ছে গন্ধটি।

দিনের বেলায় তিনি হাত ঘষলেই এই সুগন্ধ বের হয়। অন্যদিকে রাতের বেলায় তার কয়েক মিটার দূরে বসে থাকলে এই গন্ধ এমনিতেই পাবেন যে কেউ।

ডাং থি তুওই বলেন যে তার শরীরের কিছু অংশ অন্যদের তুলনায় বেশি সুগন্ধযুক্ত এবং দিনের থেকে রাতে গন্ধ বেশি পাওয়া যায়। তবে তার মাসিক চক্রের সময়, এই ঘ্রাণের তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। তবে এটি সবচেয়ে তীব্র আকার ধারন করে যখন আকাশে পূর্ণিমা থাকে। এমনকি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনেও তীব্র সুঘ্রাণ বের হয় ডাং থি তুওইর শরীর থেকে। আর এজন্য অনেকেই আসেন ডাং থি তুওইর সঙ্গে দেখা করতে। সুঘ্রাণের পরোখ করে মেটান নিজের কৌতূহল

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *