নিউজ ডেষ্ক- বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করছেন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার কালুপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম। রাজশাহী কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন করে ঢাকাস্থ মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ শেষে স্বল্প পুঁজি নিয়ে ‘ফেন্ডস মাশরুম সেন্টার’ নামে মাশরুম চাষ শুরু করেন।
জানা যায়, ৪ মাস আগে একটি পরিত্যক্ত ঘরে ৭৪টি স্পন বা মাশরুম বীজ প্যাকেট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মাশরুম উৎপাদন শুরু হয়ে যায়। বর্তমানে খামারে ১ হাজারের অধিক স্পন প্যাকেট রয়েছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রথম থেকে মাশরুমের উপর আগ্রহ ছিল। গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে বৃহত্তর পরিসরে মাশরুম প্রজেক্ট করার সিদ্ধান্ত নিই। দেড় হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে মাশরুম প্রজেক্ট শুরু করেছি, এখান থেকে ৩০ হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি হবে।
তিনি আরও বলেন, মাশরুম উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করছি। আমার মাশরুম চাষ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হচ্ছেন। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা বা ঋণ সহায়তা পেলে মাশরুম চাষ করে তরুণ বেকার যুবকদের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।
লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ওষুধি গুণ সম্পন্ন মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এটি চাষে কম পুঁজি লাগে তবে বেশ লাভজনক। এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী এবং বসতঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা ও ঘরের বারান্দা ব্যবহার করেও মাশরুম উৎপাদন করা যায়। এটা চাষে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।