নিউজ ডেষ্ক- নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকার রেকাত আলী গরু আর মহিষের সৌখিন খামার গড়ে সফল হয়েছেন। তার খামার দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করেন। দর্শনার্থীদের সবাই বলেন যে, এতো খামার নয় যেন গরু মহিষের সংগ্রহশালা।
জানা যায়, গরু মহিষ পালনের ইচ্ছা থেকেই ৬ বছর আগে বাণিজ্যিকভাবে পালন শুরু করেন। একটু একটু করে বেড়ে এখন রেকাত আলীর খামারে প্রায় দুই শতাধিক গরু মহিষ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দেশি-বিদেশি গরু মহিষ সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে আমেরিকার বাহামা ও জিবিআর, অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিজিয়ান ও হলিষ্টিন ফ্রিজিয়ান, নেপালের নেপালী গীর, পাকিস্তানের শাহীওয়াল, ভারতের রাজস্থান, গুজরাট, উলুবাড়িয়া জাতের গরু। সব গরুই শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির। এ খামারে শুধু গরু নয়, আছে বিহারী ও আফ্রিকান জাতের বিশাল মহিষ। জাফরাবাদী, নিলিরাভী, মুররা জাতের মহিষও রয়েছে। আকৃতিতে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। আকর্ষণীয় এসব মহিষ ওজনে পনের মণ ছাড়িয়েছে।
খামারি রেকাত আলী বলেন, আমি পেশা হিসেবে গরু-মহিষ পালন করিনা। এটা আমার নেশা হয়ে গেছে। গরু গুলোর সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক হয়ে গেছে। প্রতিদিন আমার খামারের গরু-মহিষ দেখতে অনেক দর্শনার্থী আসেন। আমি খুব যত্ন নিয়ে গরু-মহিষগুলোকে লালন পালন করি।
তিনি আরো বলেন, গরু-মহিষের খাবারের জন্য খামারের পাশেই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ঘাস চাষ করি। গুণগতমানের ব্যাপারে আমাদের কোন আপোষ নেই। খামারে কোনরকম স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়না, সম্পূর্ণ অর্গাণিক। ঘাস, গমের ভুষি আর খৈল ছাড়াও গম, ভুট্টা, খেসারী, ধান, ডাবলী ও ছোলা সহযোগে মিশ্র খাবার দিয়ে থাকি। ১২ জন শ্রমিক নিয়মিত খামারের গরু-মহিষের দেখাশোনা করেন। শুধু কোরবানির ঈদের জন্য নয় আমার খামারের গরু ক্রয় করতে দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ফার্ম গুলোও আসেন। ইচ্ছা আছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করবো।
জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, রেকাত আলীর এই খামার নিয়ে আমরা গর্বিত। জেলা পশু সম্পদ বিভাগ থেকে তাকে সহযোগীতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বৈচিত্রময় এই খামার দেশে পশু সম্পদ বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা পালন করবে। এ খামারের উন্নয়নে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।