নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ৬৯ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে স্থানীয় একজন মেয়রও রয়েছেন। মালির সীমান্তবর্তী দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার ( ৫ নভেম্বর) জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজারের ২ প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত এলাকার এই জায়গাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল কায়েদাপন্থি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, এই বন্দুক হামলার সঙ্গে গোষ্ঠী দুটির সম্পর্ক আছে। তবে এ হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
তবে গত মঙ্গলবার এই হামলার হলেও বৃহস্পতিবার প্রাণহানির সংখ্যা জানা যায়। সেদিন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাচি আলহাদা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, হামলার পর ১৫ জন জীবিত ফিরে আসতে পেরেছেন এবং এ ঘটনার পর আশাপাশে তল্লাশি চলছে।
নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমের তিলাবেরি অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। মেয়রসহ একটি প্রতিনিধি দলের ওপর হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
নাইজারের দুই প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সব সময়ে কমবেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যেখানে চলতি বছরে পাঁচশ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গত মার্চেও জঙ্গি সন্দেহে সেই অঞ্চলের তিনটি গ্রামে সমন্বিত অভিযানে ১৩৭ জন নিহত হন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মাঝে নাইজার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। পার্শ্ববর্তী মালি ও নাইজেরিয়ার মতো দেশটিও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চলতি বছর ২ জানুয়ারি তিলাবেরিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১০০ মানুষ। এর আগে ২০২০ এবং ২০১৯ সালে ওই এলাকায় নাইজারের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। ২০২০ সালের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৭০ জন এবং ২০১৯ সালে নিহত হয়েছিলেন ৮৯ জন।