নিউজ ডেষ্ক- রাজশাহীর বাঘায় ’বাঘাশাহী’ নতুন জাতের আমের চাষ হচ্ছে। উপজেলার বলিহার গ্রামে বাঘা পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাকের আম বাগানে চারটি গাছ রয়েছে।
এ আমের আঁশ নেই, আটি ছোট, পাল্পের পরিমাণ বেশি এর নিজস্ব ঘ্রাণ আছে। আমটির উৎপত্তিস্থলের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলা কৃষি অফিস এই আমের নামকরণ করতে চাইছেন ‘বাঘাশাহী’। ইতিমধ্যে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, এ আম খিরসাপাত আমের মতো সুমিষ্ট এবং এর নিজস্ব ঘ্রাণ দেবে। ইতিমধ্যেই উপজেলা কৃষি অফিসার এ সুমিষ্ট আম সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ আম বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে পাওয়া যায়। এ আম গুটি আমের আগে পাওয়া যায়। ব্যাপক চাহিদা এ আমের।
এই আম আম্রপালি আমের মতো দেখতে। এর কোন আঁশ নেই। আটি ছোট। পাল্পের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যান্য আম পাকার পরে ৩-৪ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এ আম পাকার পরে ৭-৮ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এ আম পাকার পরে খুব আকর্ষণীয় রং ধারণ করে। এ আমের ডাটা অন্য আমের চেয়ে শক্ত। এ আম প্রতি বছর গাছে আসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
বাঘা পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমার পিতা মৃত হাসমতুল্লাহ আম বাগানে প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে লাগিয়েছিল। এখনও চারটি এ জাতের আমগাছ আছে। এ গাছের আম কোন দিন বিক্রি করা হয়নি। নিজেরা খায় আত্নীয় স্বজনদের দেওয়া হয়। ঘরে এই আম রাখলে অসাধারণ ঘ্রাণ পাওয়া যায়। খেতে মিষ্টি ও স্বাদযুক্ত। তবে এবার দুটি গাছের আম ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এলাকায় লোকজন গাছটি গুটি আম গাছ হিসেবে জেনে আসছেন। পারিবারিকভাবে এই আমকে ‘সমাসি’ আম বলা হয়। এ আমের গাছের পাতা চিকোন। পাতা ফনিয়া আমের গাছের পাতার মতো। গাছ বড় আকারের হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ওই গাছ থেকে সায়ন সংগ্রহ করে চারা তৈরি করে সেই চারা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সরকারি নার্সারীতে দেয়া হবে। আশা করছি ২-৩ বছরের মধ্যে সেই চারা সবাই সরকারী দামে কিনতে পারবেন। এ আম গাছটি বাঘায় অবস্থিত এবং ভবিষ্যতে এর জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করে এর নামকরণ করা হয়েছে বাঘাশাহী।
এই আম মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পাকবে। আঁশ নেই, আটি ছোট তাই পাল্পের পরিমাণ বেশি। মিষ্টতার পরিমাণ খিরসাপাত/হিমসাগরের কাছাকাছি। পাকার পর ১০ দিন ভাল থাকবে। প্রতি বছর আম ধরে। আগামী বছর থেকে বিভিন্ন সরকারি নার্সারীতে এই জাতের চারা যেন পাওয়া যাবে। সে ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।