নিউজ ডেষ্ক- স্বাদে-গুণে অনন্য ও মিষ্টতায় ভরা নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় নাগ ফজলি আম। নাগ ফজলি চাষে এখানকার মাটি উপযোগী হওয়ায় চাষিরা ঝুঁকছেন এ আম চাষে। উপজেলার গণ্ডি পেরিয়ে এ আমের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
জানা যায়, বন বিভাগের তৎকালীন এমএলএসএস আফতাব হোসেন ভান্ডারির হাত ধরে ১৯৬৭ সালে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর এলাকায় নাগ ফজলি আমের প্রথম বিস্তার লাভ করে। পরে যা আসতে আসতে বিভিন্ন্ জেলায় ছড়িয়ে পরে। তারপর সাবেক কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা’র নিজ উদ্যোগে ২০১৮ সালে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নাগ ফজলি আমকে ধামইরহাটের একমাত্র ব্র্যান্ডিং আম হিসেবে ঘোষণা করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট ও বদলগাছী উপজেলায় প্রথম এ আমের চাষ শুরু করা হয়। এই জাতের আম দেখতে লম্বায় প্রায় ৪ ইঞ্চি আর চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে। কাঁচা নাগ ফজলি আম মিষ্টি হওয়ায় শিশুরা ঝাল-লবণ ছাড়াই খেতে বেশ পছন্দ করে। এছাড়াও মিষ্টতার দিক দিয়ে এই জাতের আম ল্যাংড়া ও আম্রপালি আমের সমতুল্য। প্রত্যেকটি আমের ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
উপজেলার কালুপাড়া এলাকার সাতানা গ্রামে নাগ ফজলি আম চাষি ফারুক হোসেন বলেন, স্থানীয় হায়দার মাষ্টারের কাছ থেকে তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ৩৫ হাজার টাকায় একটি আমের বাগান কেনেন। বর্তমান তিনি বাগান থেকে নামানো আম জয়পুরহাট জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।
আম চাষি ও বিক্রেতা আব্দুল হান্নান দেওয়ান বলেন, ২ শতাংশ জমির উপরে নাগ ফজলি আমের বাগান রয়েছে। আমি ২০১১ সাল থেকে নিজ বাগানের আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করি। এবার ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করছি নাগ ফজলি আম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, এবছর উপজেলায় প্রায় ৬৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে ৩২০ হেক্টর জমিতেই শুধু নাগ ফজলি আমের চাষ করা হয়েছে।
তিনি এও বলেন, নাগ ফজলি আম ধামইরহাট উপজেলার একমাত্র ব্র্যান্ডিং আম। ক্যাপ পদ্ধতির মাধ্যমে গুণগতমান বজায় রেখে উৎপাদন ও বিপণন বৃদ্ধি করে বহির্বিশ্বে পরিচিতির জন্য উপজেলা কৃষি অফিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।