ধান সংরক্ষণ করুণ নিশিন্দা বা বিষ কাটালি দিয়ে

কৃষি ও প্রকৃতি

নিউজ ডেষ্ক- যেকোন ফসলের ভাল ফলন পেতে হলে ভাল বীজের প্রয়োজন। এজন্য যে জমির ধান ভালোভাবে পেকেছে কিনা, রোগ বালাই পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে দূরে ছিলে এবং আগাছামুক্ত জমির ধান বীজ হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অনেকেই জানেননা যে, নিশিন্দা বা বিষ কাটালি দিয়ে বীজ ধান সংরক্ষণ করা যায়। এতে সুরা, কাটারিসহ বিভিন্ন পোকা লাগবেনা।

বীজ ধান নিয়ে চাষিদের বেশ অভিজ্ঞতা আগে থেকেই রয়েছে। কাঁচা খলার উপর ধান মাড়াই করার সময় চাটাই, চট বা পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে। এভাবে ধান মাড়াই করলে ধানের রং উজ্জল ও পরিষ্কার থাকে। মাড়াই করা ধান অন্তত ৪-৫ দিন রোদে ভালোভাবে শুকানোর পর ঝেড়ে গোলাজাত করতে হবে।

এবার ধান কাটার আগেই বিজাতীয় (Off-type) গাছ সরিয়ে ফেলতে হবে। যেসব গাছের আকার-আকৃতি, শিষের ধরণ, ধানের আকার-আকৃতি, রঙ ও শুঙ এবং ধান পাকার সময় জমির অধিকাংশ গাছ থেকে একটু আলাদা সেগুলোই বিজাতীয় গাছ। সকল রোগাক্রান্ত গাছও অপসারণ করতে হবে।

এরপর ফসল কেটে এবং আলাদা মাড়াই, ঝাড়াই করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে মজুদ করতে হবে। বীজ ধান মজুদের সময় যেসব পদক্ষেপ নেয়া উচিত সেগুলো হলো:

১. রোদে ৫/৬ দিন ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে যেন বীজের আর্দ্রতা শতকরা ১২ ভাগের নিচে থাকে। দাঁত দিয়ে বীজ কাটলে যদি কটকট শব্দ হয় তাহলে বুঝতে হবে বীজ ঠিকমতো শুকিয়েছে।

২. পুষ্ঠ ধান বাছাই করতে কুলা দিয়ে কমপক্ষে দু’বার ঝেড়ে নেওয়া যেতে পারে।

৩. বায়ুরোধী পাত্রে বীজ রাখা উচিত। বীজ রাখার জন্য ড্রাম ও বিস্কুট বা কোরোসিন টিন ব্যবহার করা ভাল।

৪. মাটির মটকা বা কলসে বীজ রাখলে গায়ে দু’বার আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

৫. আর্দ্রতা রোধক মোটা পলিথিনেও বীজ মজুদ করা যেতে পারে।

৬. রোদে শুকানো বীজ ঠাণ্ডা করে পাত্রে ভরতে হবে। পুরো পাত্রটি বীজ দিয়ে ভরে রাখতে হবে। যদি বীজে পাত্র না ভরে তাহলে বীজের উপর কাগজ বিছিয়ে তার উপর শুকনো বালি দিয়ে পাত্র পরিপূর্ণ করতে হবে।

পড়তে পারেন: পেঁয়াজ সংরক্ষণে ডাচ প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ

৭. পাত্রের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। এবার এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন পাত্রের তলা মাটির সংস্পর্শে না আসে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *