ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জেনে নিন

লাইফস্টাইল

নিউজ ডেষ্ক- পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ধনে এক বর্ষজীবী ও সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনে পাতাকে আমরা সালাদ এবং রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি।

আসুন জেনে নিই ধনে পাতার পুষ্টিগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে:

পুষ্টিগুণ: ধনে পাতায় রয়েছে ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, ৬ ধরনের অ্যাসিড, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য ফাইবার, ম্যাংগানিজ আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামি ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামি ‘কে’, ফসফরাস, ক্লোরিন এবং প্রোটিন। তাই ধনে পাতাকে সাধারণ কিছু ভাবার কোনো কারণ নেই।

উপকারিতা:

১.ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা
বৃদ্ধি পায়। কারন এতে কোলেস্টেরল এর মাত্রা শূন্য।

২. ধনে পাতার ভিটামিন ‘কে’ অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

৩. ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যে ধনে পাতা বিশেষ উপকারি। এটি ইনসুলিনের
ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।

৪. ঋতুস্রাবের সময় রক্তসঞ্চানল ভাল হওয়ার জন্যে ধনে পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এতে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা সারাতেও বেশ উপকারী।

৫. ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও উপকারী, চোখের
জন্যেও ভাল।

৬. ধনেপাতায় এসেনশিয়াল অয়েল লিনোলেয়িক এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যার মধ্যে অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টি-আথ্র্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।এরা ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।

৭. স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিষ্কের নার্ভ (স্নায়ু) সচল রাখতে সাহায্য করে ধনে
পাতা।

৮. ধনে পাতার থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন –অ্যাসকরবিক এসিড, বিটা
ক্যারেটিন, ম্যাংগানিজ পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

৯. এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং
জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে।

১০. ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং বা বিষাক্ততা রোধকারী, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এরা বিভিন্ন স্কিন ডিজঅর্ডার বা ত্বকের অসুস্থতা (একজিমা, ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন) সারাতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে তাই ধনে পাতার উপকারিতা অনেক।

জেনে নিন ধনে পাতার পুষ্টিগুন ও উপকারিতা শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন মো. বিল্লাল হোসেন শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। লেখাটি যুগান্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *