দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সুবিধা জেনে নিন

উদ্দোক্তা ও সাফল্যের গল্প

ব্ল্যাক বেঙ্গল হল ছাগলের একটি জাত।আর দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সুবিধা রয়েছে অনেক। আমরা ছাগলকে গরিবের গাভী বলে থাকি। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।

আকৃতি: ব্ল্যাক বেঙ্গল আকারে ছোট কিন্তু দেহের কাঠামো আঁট এবং পশম খাটো ও নরম। এ জাতের ছাগলের শিং ছোট ও পা খাটো। এদের পিঠ সমতল। কানের আকার ১১-১৪ সেমি এবং সামনের দিকে সুচালো। একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন হয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি, মাদী ছাগলের ২০ থেকে ২৫ কেজি। পূর্ণবয়স্ক ছাগলের উচ্চতা ৫০ সেমি হয়ে থাকে। উভয় লিঙ্গের ছাগলেই দাঁড়ি দেখা যায়।

আসুন দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সুবিধাসমূহ জেনে নিই-
১.পারিবারিক আয় বাড়ে।
২.আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়, পরিবারের গোশত ও দুধের চাহিদা মেটে।
৩.পারিবারিক আমিষের চাহিদা পূরণ হয়।
৪.চামড়া রফতানির মাধ্যমে অধিকতর আয় বাড়ে।
৫.ছাগলের দুধ খুবই পুষ্টিকর এবং এলার্জি উপসর্গ উপশমকারী।
৬.ব্ল্যাক বেঙ্গলের গোশত সুস্বাদু ও চামড়া আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত।

৭.অধিক বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী।

৮.ছাগল পালনে অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়, পারিবারিক যে কোনো সদস্য দেখাশোনা করতে পারেন।
৯.শয়ন ঘরে বা রান্না ঘরে কিংবা শয়ন ঘরের পাশে সাধারণ মানের কম খরচি ঘরে রাখা যায়।
১০.দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ঘটে বলে অল্প সময়ে সুফল পাওয়া যায়।

১১.সব ধর্মালম্বী লোকদের জন্য ছাগলের গোশত সমাদৃত।
১২.ছাগল পালনে অন্যান্য পশুর মতো আলাদ বিশেষ গোচারণভূমির প্রয়োজন হয় না।
১৩.ক্ষেতের আইলের, রাস্তার ধারে, বাড়ির আশপাশের অনাবাদি জায়গার ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে।
১৪. বাড়ির আঙিনার আশপাশের গাছগাছড়ার লতাপাতা ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
১৫.অল্প পুঁজিতে লালন পালন করা যায়।
১৬. গবাদিপশুর মতো উন্নতমানের খাদ্য আবাসন বা অন্যান্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না।

জেনে নিন দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে সুবিধা শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ ডক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপপরিচালক (গণযোগাযোগ), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *