নিউজ ডেষ্ক- বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষমতা তাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেই বলে মন্ত্যব করেছেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। গতকাল সোমবার বিকালে দুদকের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচার নিয়ে কাজ করে সাতটা প্রতিষ্ঠান। আমরা করি এই সাত ভাগের এক ভাগ। তারপরও আমরা অর্থ পাচার ঠেকাতে কাজ করছি। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়াটাও দীর্ঘ। বিভিন্ন মাধ্যমে যেতে হয়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশ থেকে অর্থ যে দেশে পাচার হয় সেখানে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে না দুদক। দুদককে অনেকগুলো বিষয় মেনে কাজ করতে হয়। সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে বিভিন্ন দেশের কাছে তথ্য চাইতে হয়। যে কারণে ঠিক সময়ে অনেক কাজই করতে পারে না দুদক। আবার ঐসব দেশে তথ্য দিতে চায় না। এজন্য বিলম্ব হয়, তখন মনে হয় দুদক কিছু করছে না।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বোঝা আমাদের নিতে হচ্ছে। অথচ এটা আমাদের শিডিউলেই নাই। আমাদের কাছ থেকে এটা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাজের ক্ষমতা এখন দুদকের নাই। আবার অর্থ পাচারের তথ্য পেতে হলে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা নিতে হয়।’
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, দেশের দুর্নীতি দমন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে দুদক। তবে সঠিক সময়ে কাজ করার জন্য সব পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। এছাড়া আমরা সব কাজ করতে পারি বিষয়টি এমনও নয়। তবে অনেকেই যে কোনো অপরাধ হলেই বলেন দুদক করেটা কি? আসলে তারা দুদকের কাজ সম্পর্কে না জেনেই এমন মন্তব্য করে বসেন।