নিউজ ডেষ্ক- বিএনপি নির্বাচনে যাবে- এমন পূর্বানুমান করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দলটির দায়িত্ব নিয়ে নিতে বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সে (কাদের) কীভাবে অন্য একটি দলের বক্তব্য নিজে দেন?
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতোটুকু ফাঁকফোকর নেই। এই সরকারকে যেতে হবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পরেই একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমের সক্ষমতা নেই, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যা বলার বলে দিয়েছেন, এখানে আমাদের বলার তেমন কিছু আছে বলে মনে হয় না। এই সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।
বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঈদের পরে আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেব, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই আন্দোলনের অংশ, আমরা যা কিছু করছি তাই আন্দোলন। আন্দোলন বলতে আপনারা কি বোঝেন তা জানি না, আমরা যারা আন্দোলন করি তারা বুঝি আন্দোলন মানেই জনগণকে সম্পৃক্ত করা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছি এটাও আন্দোলনের কর্মসূচি, জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে যে কর্মসূচি দিয়েছি সেটাও আন্দোলনের কর্মসূচি। অস্থির হবেন না, আপনারা যেটা দেখতে চান সেটা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন।’
সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পরিবর্তন হলে দ্রব্যমূল্যসহ সবকিছুই মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে, নিয়ন্ত্রণ হবে।’
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর সে দেশের সরকারের পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া এবং পরবর্তী ঘটনা নিয়েও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘এই সরকার কোনোদিনও শিক্ষা নেবে না। যদি নিত তাহলে গত ১০ বছরে শিখত। শ্রীলঙ্কা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এই সরকার বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।