নিউজ ডেষ্ক- আমাদের দেশে নানা রকম মৌসুমি ফলের দেখা মেলে। এর মধ্যে দেশি ফল আমড়া মুখরোচক ও সুস্বাধু। টকমিষ্টি স্বাদের এ ফলটি কাঁচা ছাড়াও আচার, চাটনি, জ্যাম ও রান্নাসহ বিভিন্ন উপায়ে এটি খাওয়া যায়।
পিরোজপুর কাউখালীতে এ বছর আমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে আমড়ার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আমড়ার মৌসুমে বাজার ছাড়াও পথে পথে প্রচুর বিক্রি হয়। আমড়ার পুষ্টিগুন দিয়ে অর্থকরী ফল হিসেবেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ফলন ও বাজার দর ভালো থাকার ফলে আমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
গত চার বছরের তুলনায় এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু আমড়ার আমড়ার বাজার দর কম হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি নেই। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় আমড়ার ফলন বেশি হয় বলেই ‘বরিশালের আমড়া’ নামে এই ফলের পরিচিতি বেশি।
পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা ছাড়াও স্বরূপকাঠী ও নাজিরপুরে আমড়ার আবাদ হয় বেশি। এসব এলাকায় প্রত্যেকটি বাড়িতে আমড়া গাছ রয়েছে। এমন কোনো বাড়ি নেই যে বাড়িতে আমড়া গাছ নেই। অনেকে পতিত জমির আইলে এবং কেউ কেউ ফসলি জমিতে আমড়ার বাগান করেছেন। কোনো কোনো চাষির বাগান থেকে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় হয়। শ্রাবণ ভাদ্র মাসে আমড়া পরিপক্ব হলে বেপারীরা ফাল্গুন চৈত্র মাসে কুড়ি দেখেই আগাম টাকা দিয়ে বাগান কিনে রাখেন। আবার অনেক চাষি নিজেরাই বাজারে আমড়া বিক্রি করেন।
উপজেলার প্রধান বন্দর লঞ্চঘাট, দণি বাজার, পাঙ্গাশিয়াসহ বিভিন্ন বড় বাজারে রয়েছে আমড়ার আড়ত। ওই সব আড়ত থেকে আমড়া চলে যায় ঢাকা, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মেঘনাঘাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের আমড়া চাষি মিরাজ হাওলাদার বলেন, আমড়া বিক্রির মধ্যস্থদের অধিক মুনাফার কারণে আমড়া উৎপাদনকারী গৃহস্থরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে কারণেই আমড়া চাষিরা বাম্পার ফলনে খুশি হলেও দামে খুশি নন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরীফ বলেন, গত ২ বছরের চেয়ে এ বছর আমড়ার ফলন বৃদ্ধিতে দাম কমে গেছে বলে জানান তিনি।