নিউজ ডেষ্ক- পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প পুঁজিতে বেশি আয় করা যায বলে অনেকেই ঝুঁকছেন কলা চাষে। কলা চাষে চাষিদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও এসেছে। ইতোমধ্যেই ভাগ্য বদলেছে অনেক চাষিদের।
ঈশ্বরদী কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ১,৮৪০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নেই ১,৮০০ হেক্টর জমিতে কলা আবাদ হয়েছে। অনেক চাষিরা কলার আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
কামালপুর চরের কলাচাষি মামুন বলেন, ৪০ বিঘা জমিতে জমিতে কলা আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কলার আবাদে সার ও বীজ এবং শ্রমিকের খরচ কম হয়। অন্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে পরিশ্রমও কম হয়। কলা বিক্রিতেও ঝামেলা নেই। পাইকাররা বাগানে এসে কলা কিনে নিয়ে যায়।
দাদাপুর চরের চাষি হাসান বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে কলা আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি লাভ হয়েছে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। কলা ছাড়া এ চরে অন্য আবাদ নেই বললেই চলে। অথচ ৫ বছর আগেও এই চরে কেউ কলার আবাদ করতো না।
দাদাপুর চরের আরেক চাষি আমিরুল বলেন, ১০ বিঘা জমিতে কলা আবাদ করেছি। বিঘাতে চাষাবাদ বাবদ খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। কলা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
লক্ষীকুন্ডা ইউপি’র কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, কলা চাষে এই ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছে। সকলে কলা চাষে ঝুঁকেছেন। কলা চাষে বিঘা প্রতি খরচ ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখানে সবরি কলার বেশি আবাদ হয়। পাশাপাশি সাগর, মেহের সাগর ও অমৃত সাগর কলার আবাদও হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিতা সরকার বলেন, পদ্মার চরাঞ্চলে এবার কলার ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরা লাভবান হওয়ায় প্রতিবছরই আবাদ বাড়ছে। কলা চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে ।