নিউজ ডেস্ক: আমাদের দাবি মানা না হলে ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন, ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব। তিনি বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ভাড়ার ওপরে প্রভাব পড়েছে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক দাবির কথা জানাবেন। দাবি মানা হলে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
মোতালেব বলেন, দুপুরে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আমরা বৈঠক শেষ করি। বৈঠকে ধর্মঘটের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবির কথা শুনেছেন এবং তিনি বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো আলোচনা করে মেনে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ভাড়ার ওপরে প্রভাব পড়েছে। আগে ভাড়া যেখানে ছিল ১০ হাজার, সেখানে এখন ভাড়া হবে তেলসহ ১২ হাজার। তাহলে কীভাবে আমরা গাড়ি চালাবো? আমাদের লাভের যে অংশটা ছিল তা এখন তেলেই চলে যাবে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে কর্মমুখীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
শনিবার (০৬ নভেম্বর) গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া রাজধানীর প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকেই রাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। গন্তব্যে যেতে ব্যবহার করছে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা।
এতে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। এরপরই শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।