‘দশটা মার্ডার করা লাগলে করবেন’ প্রকাশ্যে আ.লীগ নেতার ছেলের হুমকি (ভিডিওসহ)

বাংলাদেশ

নিউজ ডেষ্ক- “মাইর খেয়ে আসা যাবে না, মাইর দিয়ে তারপর আসতে হবে। আর তার জন্য যদি ১০টা মার্ডারও করা লাগে দরকার হলে তাই করবেন। আমি বাকিটা দেখে নিবো ইনশাল্লাহ।”

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩নং জোয়াগ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আউয়ালের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব বলেন তার ছেলে মিজানুর রহমান খান।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জোয়াগ ইউনিয়নের পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের এক উঠান বৈঠকে তার দেওয়া এই বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় তার বাবা আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ইঞ্জি. আব্দুল আউয়ালও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নিজের কর্মীদের উসকানি দিয়ে মিজান বলেন, “আমি আপনাদের সামনে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আমার লোকদের এক ফোঁটা রক্ত ঝরে, আপনি ১০ ফোঁটা রক্ত নিয়ে আসবেন বাকিটা আমি দেখে নিবো ইনশাল্লাহ। কোন প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না, এক চুল পরিমাণও ছাড় দেব না। মিজান কী জিনিস জোয়াগের অনেক মানুষ তা জানে না। জানা উচিত, যখন নমিনেশন নিয়ে আসছি, তখন থেকেই জানা উচিত ছিলো।”

উসকানিমূলক ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিজান যে হুমকি দিয়ে যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না জোয়াগ ইউনিয়নসহ স্থানীয় মানুষজন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর কমেন্টে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা যায় নেটিজেনরা।

এ বিষয়ে জোয়াগ ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সওদাগর জানান, “আমি অসুস্থ, আপাতত বাড়িতেই আছি। ভিডিওটি আমিও দেখেছি; কিন্তু বিস্তারিত কোন কিছু জানি না। আর মিজান আ.লীগের কেউ না। তার বাবা আ.লীগের একজন প্রার্থী।”

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন,“ভিডিওটি আমি এখনো দেখিনি। যদি এমন বক্তব্য কেউ দিয়ে থাকে, তা হলে সে আইন অমান্য করেছে এবং নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *