নিউজ ডেষ্ক- বান্দরবানের জুমচাষী তোয়ো ম্রো দেশি ফলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। প্রথমে পরিক্ষামূলকভাবে ড্রাগন চাষে সফলতা পাওয়ার পর বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছেন। ড্রাগন ফল চাষে তার সফলতা দেখে অন্যান্য চাষিরাও উৎসহিত হচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালে পরিক্ষামূলকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে ভলো ফল পাওয়ায় এটাকে বাণিজ্যিক রূপ ধারন করান বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের জুমচাষী তোয়ো ম্রো। পাহাড়ি জমির মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী হওয়ায় ৩০০ ড্রাগন চারা রোপন করে চাষ শুরু করেন। এখন তিনি সফল চাষি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তোয়ো ম্রো আদর্শ বাগানি হিসেবে ২০১৮ প্রথম আলো কৃষি পুরস্কারও পেয়েছেন।
ড্রাগন চাষি তোয়ো ম্রো বলেন, প্রথমে ৩০০ চারা ড্রাগন রোপন করে চাষ শুরু করি। বর্তমানে ৩ একর জমিতে ৬ হাজার ড্রাগন গাছ চাষ করছি। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত তিনবারে প্রায় ২ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করি। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ড্রাগন গাছে ৫ থেকে ৬ বার ফলন আসে। আশা করছি আরো ৪ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ১৪-১৫ মণ ফল ছিঁড়তে হয়। রাতে ফল মেপে রাখা, ভোররাতে গাড়িতে তুলে দেওয়া, সকালে আবার ফল ছেঁড়া অনেক কষ্টের কাজ। বিভিন্ন বয়সের মানুষ আমার বাগানটি দেখতে আসেন। অনেকে ড্রাগন চাষের পরামর্শও চান। আমি তাদের পরামর্শ দেই এবং ড্রাগন চাষ করতে উৎসাহিত করি।
কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, তোয়ো ম্রোকে একজন আদর্শ কৃষক। ড্রাগন চাষে তিনি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমরা তাকে ড্রাগন চাষে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করছি পাশাপাশি অন্যান্য চাষিদের ড্রাগন চাষে উৎসাহিত করছি।