নিউজ ডেষ্ক- কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা এবং তাদের সন্তানরা সুইজারল্যান্ডে লুকিয়ে আছেন বলে ইউএস নিউজ আউটলেট, পেজ সিক্স, ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল ও ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। ওই সব প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল- স্বর্ণপদক বিজয়ী জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভা তাদের তিন সন্তানের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে রয়েছেন।
সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন সাবেক এই জিমন্যাস্ট। চেঞ্জ ডট অর্গ নামে একটি ওয়েবসাইটে আলিনাকে সুইজারল্যান্ড থেকে তাড়াতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশের আবেদনকারীরা সুইজারল্যান্ড থেকে আলিনাকে তাড়িয়ে দিতে স্বাক্ষর করছেন। ওই পিটিশনে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে।
পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে আলিনাকে নিজের প্রেমিকা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও দ্য গার্ডিয়ানের মতো বেশকিছু গণমাধ্যম তাকে পুতিনের প্রেমিকা হিসেবেই দাবি করে থাকে।
ওই পিটিশনে কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে, ‘এখন ইভা ব্রাউনের তার ফুহরারের (হিটলারকে সে সময় অত্যাচারী নেতার উপাধি দেওয়া হয়েছিল) সঙ্গে পুর্নমিলনের সময়।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান যুদ্ধ সত্ত্বেও, সুইজারল্যান্ড পুতিনের শাসনামলের একজন সহযোগীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে। জার্মান, ফরাসি এবং ইংরেজিতে পোস্ট করা হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর কারণে আলিনাকে সুইজারল্যান্ড পাঠানো হয়েছে, এমন খবর সামনে আসার পর ওই পিটিশন দাখিল করা হয়।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পুতিনের সঙ্গে আলিনার নাম জড়ায়। মিডিয়া টাইকুন এবং সাবেক কেজিবি স্পাই আলেকজান্ডার লেবেদেভের মস্কো থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র এ দাবি করেছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন তার স্ত্রী লিউডমিলাকে ডির্ভোস দেন।
এরপর আলিনাকে ‘রাশিয়ার ফার্স্ট লেডি’ বলা শুরু হয়। অবশ্য আলিনা পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে অস্বীকার করেন। তবে থেমে থাকেনি তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন। গুজব রটে তারা গোপনে বাগদান করেছিলেন এবং তারপর বিয়ে করেন। বিয়েতে পারিবারিক অনুষ্ঠানও হয়েছিল।
কাবায়েভা একজন পার্লামেন্টের ক্রেমলিনপন্থি সদস্য ছিলেন এবং ২০১৪ সালে ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপ চালানোর জন্য বার্ষিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেতনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে মস্কোতে ডিভাইন গ্রেস রিদমিক জিমন্যাস্টিকস টুর্নামেন্টে তিনি শেষবার ক্যামেরা বন্দি হয়েছিলেন।