নিউজ ডেষ্ক- সরকারের হাতে তিনটা নন্দঘোষ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, সরকারের হাতে তিনটা নন্দঘোষ আছে। একটা হচ্ছে করোনা, আরেকটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যটি বিশ্বমন্দা। যাই হোক না কেন, যে অবস্থায় দাঁড়াক না কেন, সরকার সব দোষ চাপাচ্ছে এই তিনটি নন্দঘোষের হাতে। আমাদের দেখা দরকার এই তিনটি নন্দঘোষের দোষ কতটুকু। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মেয়াদের পর মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে। এভাবে ক্ষমতায় থাকতে গোষ্ঠীতত্ত্ব কায়েম করতে হয়। তাদের খুশি রাখতে প্রণয়ন করতে হয় আইন। তাদের সুবিধার্থে নিয়ম-কানুন করতে হয়। কুইক রেন্টাল দায়মুক্তির সমালোচনা করেন রুমিন। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, যেখানে লুটপাট হয় সেখানে টাকা পাচার স্বাভাবিক।
‘দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না’ প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এমন বক্তব্য দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি কি অবস্থায় আছে সেটা তার (তৌফিক-ই এলাহী) চেয়ে আর বেশি ভালো কেউ জানে না। বিদ্যুতের বিষয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যে, এই শীতের সময়ে শুক্রবার ছুটির দিনেও ঢাকায় দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হচ্ছে।
আগামী বছর বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে এমন আশঙ্কা করে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অনুরোধ করেছেন তার সমালোচনা করেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, সাধারণভাবে ভাবতে গেলে মনে হবে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কৌশল ভুল। যখন তার পক্ষ থেকে এই বার্তা আসে তখন আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
অর্থনীতিতে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার চেয়ে ভয়াবহ আর কিছু নেই বলে দাবি করেন রুমিন। তিনি বলেন, এতে মানুষ খরচ কমিয়ে দেবে এবং অর্থনৈতিক চাকা স্থবির হয়ে পড়বে। যখন কেউ ব্যয় করে, তখন আরেকজনের উপার্জন হয়। এই পরিস্থিতির পর প্রধানমন্ত্রী বার বার মানুষকে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করছেন। তখন আমাদের বুঝতে হবে পরিস্থিতি আসলেই খারাপ।