ড্রোন উড়িয়ে গুলশানের আকাশে মশা খুঁজছে ডিএনসিসি

বাংলাদেশ

নিউজ ডেষ্ক- ছাদে রাখা পানিতে বংশবিস্তার করছে এডিস মশা। প্রতিটি বাসার ছাদে উঠে মশা খোঁজা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে মশক নিধন কর্মীদের। এ সমস্যার সমাধানে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে ড্রোন উড়িয়ে অভিযান চালিয়েছে ডিএনসিসির টিম।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মশক নিধন কর্মীসহ ড্রোন হাতে দুজন অপারেটর অভিযান পরিচালনা করেন। গুলশান-২ এর ৭৪ নম্বর রোডের ৫ নম্বর ভবনটি হোটেল প্যারাডাইজ। সুউচ্চ এই ভবনের ১৪ তলার বিশাল ছাদে স্থাপন করা আছে হেলিপ্যাড। সেই হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়েই গুলশানের আকাশে উড়ানো হলো ড্রোন।

ড্রোন অপারেটরের হাতে থাকা কন্ট্রোলের পাশাপাশি ডিসপ্লেতে তখন সবার চোখ। গুলশানের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে তখন আশপাশের ছাদগুলোতে খোঁজা হচ্ছে মশার উৎপত্তিস্থল। পাশেই খাতা-কলম হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে টিমের অন্য এক সদস্য। এ খাতাতেই মশার উৎপত্তির অস্তিত্ব আছে- এমন ভবনের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

ড্রোনের মাধ্যমে মশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, আমাদের মশক নিধন কর্মীদের যদি বলি তোমরা ছাদে উঠে উঠে মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত কর, তাহলে তারা দুই, চার বা সর্বোচ্চ ১০টি বাড়ি দেখবে। আবার অনেক বাড়িতে ঢুকতে দেয় না তাদের। কিন্তু একটি উঁচু ভবনে যখন আমরা উঠে ড্রোন দিয়ে দেখছি, তখন আশপাশের শত শত বাড়ি কিন্তু আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে দেখে ফেলতে পারছি। এতে করে যেমন কাজ সহজ হয়েছে, তেমনি দ্রুততার সঙ্গে মশার উৎপত্তিস্থল ছাদও আমরা চিহ্নিত করে ফেলছি। তাৎক্ষণিক সেই ভবনে গিয়ে আমরা মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি।

মূলত এই কারণেই আমরা মশক নিধন কর্যক্রম বেগবান করতেই আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করছি।
গত বৃহস্পতিবার উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রমের ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ২-১১ জুলাই ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি বাসাবাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব। সিটি করপোরেশন ড্রোন থেকে ছবি নিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে। যা আগামী বছরও মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *