নিউজ ডেস্ক– অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ার কারণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
আজ (মঙ্গলবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়, সোমবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল (সোমবার) রাত ৮টায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সভায় অবৈধ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে যে খারাপ, অশালীন, অরুচিকর বক্তব্য, তার সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্টাচারবিবর্জিত সম্মানহানিকর কুৎসিত বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে এই ধরনের নারীবিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজবিরোধী বক্তব্য ও সংবিধানবিরোধী এই বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী-সমাজ এবং মানবতাকে হেয় করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সভায় দাবি উঠেছে- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা. মুরাদকে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং প্রকাশ্যে জাতির কাছে তার কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য এবং নিকৃষ্ট কথাবার্তা বলেন। কাকে নিয়ে করছে? একজন ভুঁইফোঁড় ডাক্তার ছিল শুনেছি, সম্ভবত জামালপুরের সরিষাবাড়ীর। এটাও শুনেছি সে নাকি একসময় ছাত্রদল করত।এটি দুঃখের কথা, দুর্ভাগ্যের কথা। আগে সে ছাত্রদল করতো। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রচার সম্পাদক ছিল। পরবর্তীতে সে ছাত্রলীগে যোগ দেয়। ধিক্কার দেই আমি তাকে, সেইম।”