রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ফোন পেয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (৮ মে) দুপুরে সিরডাপে মা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেননি। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন হয়তো শ্বশুরবাড়ির সবাইকে চেনেন না। আমিও তো শ্যালক- তালিকার অনেককেই চিনি না। সবাইকে চেনা যায় নাকি?
এদিকে টিটিই শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (৮ মে) রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। একইসঙ্গে পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ মে) রাতে পাবনার ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ভাগ্নে পরিচয় দেওয়া তিন যাত্রী। তারা হলেন- মন্ত্রীর স্ত্রীর মামাতো বোনের ছেলে ইমরুল কায়েস প্রান্ত ও তার চাচাত ভাই ওমর ও হাসান।
টিকিট না থাকলেও ওই তিনজন খুলনা থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন এক্সপ্রেসের এসি কেবিনের আসনে বসেন। তখন টিটিই শফিকুল ইসলাম তাদের কেবিন থেকে বের করে শোভন বগিতে পাঠান এবং ৩৫০ টাকা করে জরিমানা করেন।
পরে বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে টিটিই শফিকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলাম রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদীর টিটিই হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যুক্ত।