জেনে নিন বারি উদ্ভাবিত দারুচিনি’র পূর্ণাঙ্গ চাষ পদ্ধতি

কৃষি ও প্রকৃতি

নিউজ ডেষ্ক- মসলার দিক দিয়ে দারুচিনির ব্যবহার অনেক বেশি। সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর এ মসলা এখন বাংলাদেশেই চাষ হচ্ছে। বারি উদ্ভাবিত দারুচিনি’র পূর্ণাঙ্গ চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) সূত্র জানায়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি দারুচিনি-১ নামে একটি জাত অনুমোদিত হয়েছে। জাতটি এখন অনেকেই চাষ করে ভালো ফল পাচ্ছেন। অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে দেশের আবহাওয়া উপযোগী এ মসলা চাষ করে।

বারি উদ্ভাবিত দারুচিনির এ জাতটি উন্নতমানের আকর্ষনীয় বাদামী রঙের মিষ্টি গন্ধ ও ঝাঁঝযুক্ত মধ্যম পুরু (৩.৪ মি.মি.) বাকল যার আপেক্ষিক ওজন (১১.৬৭ গ্রাম/১০০ ব.সেমি.)। এদেশের আবহাওয়ার উপযোগী, খরা সহনশীল জাতটির গাছের বৃদ্ধির হার ও ফলন ভাল (৭১৪ গ্রাম/গাছ, ৩৮৫কেজি/হে.) এবং রোগবালাই এর আক্রমন কম।

উপযোগী এলাকা: বাংলাদেশের সব এলাকায় বারি দারুচিনি-১ এর চাষ করা যায়। বপনের সময়: বৈশাখ থেকে আশ্বিন (এপ্রিল-অক্টোবর) তবে সেচ এর সুবিধা থালে শতিকার বাদে সারা বছর লাগানো যায়। মাড়াইয়ের সময়: আশ্বিন -ফাল্গুন মাস (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য মার্চ)। বীজ/চারার হার: প্রতি হেক্টরে ৮৩৩০ – ১৬৬৬০ টি চারা বা কলম। বপন/ রোপনের দূরত্ব: চারা থেকে চারা: ৬০ – ১০০ সেন্টিমিটার।

ফলন: গাছ প্রতি ৩৫০-৬০০গ্রাম বা ৪০০-৬০০ কেজি বা ০.৪-০.৬ টন /হেক্টর। রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন: বারি দারুচিনি -১ মসলার রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন হয় না। এর তেমন কোনো ব্যবস্থাপনা নিতে হয় না।

সার ব্যবস্থাপনা: দারুচিনি গাছ সাধারণত পাহাড়ে বা বনে জঙ্গলে লাগানো হয় বিধায় এতে তেমন কোন সার প্রয়োগ করা হয় না। হবে গাছের যথাযথ বৃদ্ধির লক্ষে সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। নির্ধারিত দূরত্বে ৩০×৩০×৩০ সেন্টিমিটার প্রতি গর্তে ১-২ কেজি কম্পোস্ট বা পঁচা গোবর, ১০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করে গর্তের উপরের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে। প্রতিটি গাছের জন্য সারের পরিমান নিম্নরুপ হবে: গাছের বয়স গাছের প্রতি সারের পরিমাণ (গ্রাম)।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *