নিউজ ডেষ্ক-কৃত্রিম ভাবে মোটাতাজা হওয়া গরু চেনা অতীব জরুরী। একশ্রেণির অসাধু খামারি নিষিদ্ধ ওষুধ প্রয়োগ করে গরু মোটাতাজা করেন। কৃত্রিমভাবে মোটা করা গরুর মাংস মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে বেশির ভাগ সাধারণ গৃহস্থ কোনটি প্রাকৃতিক আর কোনটি কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে, তা বুঝতে পারেন না। আসুন জেনে নেই কৃত্রিম ভাবে মোটাতাজা হওয়া গরু চেনার উপায় সম্পর্কে-
গরুর শ্বাস-প্রশ্বাসঃ
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুগুলো খুব দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করে। অল্প একটু হাঁটলেই গরু দ্রুত হাঁপিয়ে ওঠে এবং খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
গরুর লালাঃ
যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে, সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটা করা পশু নয়।
আঙুলের চাপঃ
কৃত্রিম পদ্ধতিতে মোটাতাজা হওয়া গরুর শরীর ফুলে থাকে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে মোটাতাজা হওয়া গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংসে গর্তের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবে মোটা হওয়া পশুর গায়ে চাপ দিলে মাংস খুব বেশি গর্তের সৃষ্টি হয় না এবং যতটুকু গর্তের সৃষ্টি হয় তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভরাট হয়ে যায়।
গরুর নাকঃ
স্বাভাবিক গরুর নাকের ওপরের অংশ ভেজা থাকে এবং ঘাম জমতে দেখা যায়। অপরদিকে অসুস্থ গরুর নাক শুঁকনো ও শুস্ক দেখায়।
গরুর রানের মাংসঃ
কৃত্রিম পদ্ধতিতে মোটাতাজা হওয়া গরুর রানের মাংস স্বাভাবিক গরুর রানের মাংসের চেয়ে অনেকগুণ নরম হয়ে থাকে।
গরুর শরীরের তাপমাত্রাঃ
প্রাকৃতিকভাবে লালন-পালন হওয়া গরুর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে থাকে।
গরুর হাড় বেরিয়ে পড়াঃ
প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়া গরুর চেহারা স্বাভাবিক এবং চামড়ার ওপর দিয়ে হাড় বেরিয়ে থাকে।
পা ও মুখ ফোলাঃ
বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না- এসব গরু কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে বুঝে নিবেন। অসুস্থতার কারণে সব সময় নিরব থাকে।
শান্ত প্রকৃতিরঃ
স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরু হবে খুব শান্ত থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে মাংসের পরিমাণ বেশি মনে হবে।
শরীরে পানি জমাঃ
অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে।
সামনে খাবার ধরুনঃ
গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ আছে। আর যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চাইবে না।
গরু খুব ক্লান্ত দেখায়ঃ
প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়া গরু একটু চটপটে থাকে। কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা হওয়া গরুর শরীরে পানি জমার কারণে নড়াচড়া কম করে থাকে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে মোটাতাজা হওয়া গরু খুব অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষ রাখলে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু শনাক্ত করা সম্ভব।