মেধা যাচাই পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রতিটি শিক্ষার্থী। সবার স্বপ্ন পূরণ না হলেও, যারা অধরা সেই স্বপ্নের নাগাল পান তারাসহ তাদের পরিবারে যেন আনন্দের শেষ নেই। এমনই আনন্দের উপলক্ষে ভাসলো ভোলার দৌলতখানের একটি পরিবার। তবে অন্য লাখো জিপিএ-৫ থেকে তাদের গল্পটা ভিন্ন। কারণ ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পরিবারটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন ভাইবোন! একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ওই তিন ভাইবোনের অনন্য কীর্তিতে এলাকায় চমক সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের মধ্যে দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে মিয়াদ হাসান ও মেহেদি হাসান এবং রাজধানীর ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তাদের বোন মুশফিকা জাহান মুন। তারা দৌলতখান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিনের সন্তান।
জানা গেছে, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় তারা সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
মেধাবী এই তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুশফিকা জাহানের স্বপ্ন তিনি বিসিএস ক্যাডার হবেন। আর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বলে জানালেন মিয়াদ হাসান। তবে, মেহেদী হাসানের স্বপ্ন বিসিএস বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, তিনি পাইলট হতে চান।
তাদের সাফল্য ও স্বপ্ন পূরণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাবা মুসলেউদ্দিন ও মা বিবি ফাতেমা। সন্তানদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সরকারের সহযোগিতা ও সকলের দোয়া কামনা করেছেন তারা।
দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লা কলেজের অধ্যক্ষ গৌবিন্দ প্রোসাদ সরকার জানান, শিক্ষার্থী হিসেবে তারা দারুণ মেধাবী এবং মনোযোগী। তিনি বিশ্বাস করেন- মেধার জোরে তারা সবাই ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, ‘আমি তাদের জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে খুশি হয়েছি। উচ্চ শিক্ষায় তাদের কোনো সমস্যা থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।