নিউজ ডেষ্ক-ডিম উৎপাদনে সোনালি মুরগি পালন ব্যবস্থাপনায় করণীয় কি তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। সোনালি মুরগি পালনে ডিম ও মাংস উৎপাদন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তবে বেশি উৎপাদন পেতে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আজকের এ লেখায় আমরা লেখায় ডিম উৎপাদনে সোনালি মুরগি পালন ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে-
ডিম উৎপাদনে সোনালি মুরগি পালন ব্যবস্থাপনায় করণীয়ঃ
১। সোনালি মুরগি পালনে খামারিদের ভ্যাকসিন করতে এক প্রকার উদাসীন ভাব দেখা যায়। মনে রাখবেন ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালী মুরগী পালন করতে চাইলে ভ্যাকসিন করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে লেয়ারের ভ্যাকসিনসূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন করবেন।
২। সোনালী মুরগি পালনে লেয়ার মুরগির মতই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। এতে সোনালী মুরগি পালনে খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
৩। ডিম উৎপাদন করতে চাইলে অবশ্যই সোনালী মুরগীতে ৭-১০ দিনের মাঝে “বিক ট্রিমিং” ও ১০ থেকে ১১ সপ্তাহের মাঝে “ডিবেকিং” করতে হবে।
৪। ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মাঝে পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগীগুলোকে পৃথক করতে হবে। সাধারনত মুরগী গুলোর ঝুটি ও পালক দেখেই পুরুষ ও স্ত্রী সোনালী মুরগী চেনা যায়। যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য ডিম উৎপাদন তাই পুরুষ গুলো রাখার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।
৫। ১৪ থেকে ১৬ সপ্তাহে মুরগিগুলোকে খাঁচায় তুলতে হবে। ফ্লোরে পালন করলে প্রোডাকশন আরো হ্রাস পায়। তাছাড়া খাঁচায় রাখলে আপনি জানতে পারছেন কোন মুরগী ডিম দিচ্ছে আর কোনগুলো দিচ্ছে না।
৬। সোনালি মুরগি সাধারণত দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম খাদ্য গ্রহন করে। অতিরিক্ত বা কম খাবার দেয়া কোনটিই ঠিক না। এক্ষেত্রে মোট খাদ্যের ৬০% সকালে দিয়ে দিবেন। বাকি ৪০% খাবার ২০% -২০% করে দুপুরে ও বিকেলে দিতে হবে।