জম্পেশ কেনাবেচা, বৃক্ষমেলা জমে উঠেছে নোয়াখালীতে

বাংলাদেশ breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- জমে উঠেছে নোয়াখালীতে জাতীয় বৃক্ষমেলা। জেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় বন বিভাগের উদ্যাগে ১৮ জুলাই থেকে এ মেলা শুরু হলেও চলবে আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এবার দেশী বিদেশি প্রায় দু’শত প্রজাতির বনজ, ফলজ ও শোভাবর্ধন পসরা সাজিয়েছে বিক্রেতারা। তবে বেশী বিক্রি হচ্ছে ছাদ বাগান ও বারান্দায় উপযোগী গাছ। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে এ মেলা। চাহিদা বেশী থাকায় নার্সারি মালিকদের দাবি সময় আরোও ১০ দিন বৃদ্ধি করার।

এবার চাহিদামত চারা বিক্রি করতে পেরে খুশি নার্সারি মালিকরা। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার বৃক্ষমেলা বসেছে নোয়াখালী জেলার ঈদগাহ ময়দানে। আছে ফুল, ভেষজসহ হরেক রকমের নানা প্রজাতির চারা, ছেয়ে গেছে মেলা প্রাঙ্গনে। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দের গাছ সংগ্রহ করছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।বাসা বাড়ির চারপাশে প্রকৃতি সাজাতে ও ফুল ফলের চাহিদা মেটাতে নিচ্ছেন নানা পরামর্শ কিনছেন চারা। বৃক্ষপ্রাণীর প্রকৃতি পরিবেশ আগামীর প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ এ স্লোগানে শুরু হওয়া বৃক্ষমেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব গাছ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমিন বিডি২৪লাইভকে বলেন, বৃক্ষের জন্ম হয় প্রাণিকুলের উপকার করার জন্য। আমরা যে অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে আছি তা বৃক্ষের কাছ থেকে পাই। বৃক্ষের কাছ থেকে খাদ্য, আশ্রয়ের জন্য বাসস্থান পাই, জ্বালানি পাই, বৈচিত্র্যপূর্ণ আসবাবপত্র পাই। এছাড়াও বৃক্ষ আমাদের মাঠে কাঠফাটা রোদে সুশীতল ছায়া দেয়, জমির উর্বরতা বাড়ায়, ঝড়-ঝঞ্ঝায় আগলে রাখে, ভূমিক্ষয় রোধ করে, চারপাশের শোভা বাড়ায়, ফুল দেয়, ফল দেয়, সুগন্ধি দেয়, বিষণ্ণতায় প্রশান্তি দেয়, নানা প্রজাতির পাখ-পাখালির আশ্রয় দেয়, অসুখ-বিসুখে ওষুধ ও পথ্য দেয়। আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখে। বিষাক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে। বায়ুদূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে। আমাদের এই বৃক্ষ মেলাতে হরেক রকমের উদ্ভিদের চারা পাওয়া যাচ্ছে। সবাইকে একটি করে বনজ, ফলজ, শোভাবর্ধন গাছ কিনে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য বৃক্ষ রোপনের কোনো বিকল্প নেই। বৃক্ষ কেবল নিসর্গ প্রকৃতির শোভা নয়, বৃক্ষহীন পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। শুধু অর্থনীতিতে নয়, আবহাওয়া ও জলবায়ুসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনজ সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রাকৃতিক মহামারি থেকে পরিবেশ ও দেশকে রক্ষা করতে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

এ বিষয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা বিডি২৪লাইভকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভাবর্ধনে বৃক্ষের কোনো বিকল্প নেই। একদিকে বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারা অন্যদিকে পরিবেশও ফিরে পাচ্ছে তার সৌন্দর্যরুপ। কয়েকদিনে এই বৃক্ষমেলায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি হয়েছে। চাহিদাও বেশী থাকায় মেলার সময় আরোও ৭ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *