চেয়েছিলাম রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে, তা করা সম্ভব হয়নি: আমু

বাংলাদেশ led

এবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় রাষ্ট্রীয় ধর্ম বাতিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ২-১ একজন সদস্যের আপত্তিতে তা করা সম্ভব হয়নি।’ আজ শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমু।

এ সময় আমু আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সুবিধাভোগী কারা ছিল? যারা ষড়যন্ত্র করেছে? জিয়া, মোশতাক জাতীয় পার্টির কাজ সেটা পরিষ্কার করে দেয়। সেই ষড়যন্ত্র এখনও আছে। কেননা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে।’

এদিকে সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর পঞ্চদশ সংশোধনে ২০১০ সালে যে বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়, তাতে সদস্য ছিলেন আমু। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে গঠিত ওই কমিটিতে সদস্য ছিলেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

সংবিধান সংশোধনে আনা বিল পাসের সময় জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ সংসদ সদস্য কয়েকটি বিষয়ে আপত্তিসহ বিভক্তি ভোটে সই করেন। তাদের আপত্তির মধ্যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখাও ছিল। সংসদীয় কমিটি বিল যাচাইয়ের সময় বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিয়েছিল। বিশিষ্ট নাগরিকরা তখন রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার সুপারিশ রাখে।

গত ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেছিলেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। পরে আরেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্মের বিধান সংযোজন করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *