চাষ করুন ভারতীয় কেরালা জাতের উচ্চফলনশীল শিম

কৃষি ও প্রকৃতি breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- লাভবান হতে চাষ করুন উচ্চফলনশীল ভারতীয় কেরালা-১ জাতের শিম। বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করতে পারবেন। এই শিম গাছের গোড়া থেকে ফলন শুরু হয়। বীজ বপনের ৩৫ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। বিঘাপ্রতি (৩৩ শতকে) ফলন সর্বনিম্ন ৭০০–১০০০ কেজি।

এছাড়া গাছ ঝোপালো হয় তাই ছাদে একটি খুটির সাহায্যে চাষাবাদ সম্ভব। প্রচুর ফলন হয় বিদায় এটি অত্যন্ত লাভজনক। মোটামুটি ফল আসার পর থেকে টানা ৮ মাস ফলন পাওয়া যায়।

বাজারে চাহিদা বেশি ও কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি। এ জাতের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল গাছের গোড়ার প্রথম গিট থেকে শুরু করে প্রত্যেক গিটে সীম ধরে। সীমের সাইজ ৬–৭ ইঞ্চি।

কেরালা ১ জাতের সীম চাষের মৌসুমঃ অতি আগাম (বৈশাখ–জৈষ্ঠ্য মাস) ও মধ্যম (আষাঢ় মাস)। এছাড়া নাবি চাষ করতে চাইলে (ভাদ্র–আশ্বিন) মাসে চাষ করতে পারেন।

যেকোন জাতের শিমের ন্যায় এই শিম জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারেনা। তাই উঁচু ঢিবি করে বীজ বপন করলে ভালো হয়। এছাড়া বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড়ে, পরিত্যাক্ত জমিতে এই শিম চাষ করতে পারবেন। একটা মাদা থেকে আরেকটা মাদার দুরুত্ব হবে ২–৩ হাত লাইন থেকে লাইনের দুরুত্ব হবে ৪.৫ হাত।

বেড বা মাদা তৈরি হয়ে গেলে সার প্রয়োগ করতে হবে। বিঘা প্রতি টিএসপি সার ১০ কেজিএম ও পি সার ৫ কেজিবোরন সার ২ কেজি দানাদার বিষ ২ কেজিজিপসাম ১০ কেজিসবগুলো সার মিশানোর পরে তৈরিকৃত মাদাতে সমভাবে সার প্রয়োগ করতে হবে।পরবর্তীকালে উপরি সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের ১ সপ্তাহ পর মাটি উলটপালট করে দিতে হবে। ১৫-১৬ দিন পরে মাদাতে ৩-৪ টি সীমের বীজ রোপন করতে হবে।

রোগ ও পোকা দমন: এ জাতের শিমে রোগ ও পোকার আক্রমন কম। আগাম চাষ করলে পোকার আক্রমন কিছুটা বেশি হয় এ সময় লেদা পোকা গাছের পাতা খেয়ে ছিদ্র করে ফেলে। এ পোকা দমন করার জন্য সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি ১৬ লিটারে ২০মিলি+ এমামেকটিন বেনজয়েট ১৬ লিটারে ১০ গ্রাম হারে ব্যবহার করলে এ পোকা দমন করা যাবে।

আগাম চাষের ফুলে পচন ধরতে পারে পচন দেখা মাত্রই নাটিভো ১৬ লিটারে ৫ গ্রাম / ফলিকুর ১৬ লিটারে ১৬ মিলি হারে ব্যবহার করতে হবে। যদি শিমের গাছের গোড়া পঁচে তাহলে প্রোপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (১৬ লিটারের ড্রামে ২০ মিলি) দিয়ে গাছের গোড়া ভালো করে স্প্রে করে ভিজিয়ে দিতে হবে।

রোপনের ৫০-৬০ দিনের মধ্যে ফুল চলে আসে এবং ৮০-৯০ দিনের প্রথম ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রথম বার শিম সংগ্রহের পর জমিতে রাসায়নিক সারের উপরি প্রয়োগ করতে হবে। বিঘা প্রতি ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি বোরন ১ কেজি একত্রে মিশিয়ে গাছের গোড়া থেকে ৩-৪ ইঞ্চি দূর দিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।

বীজ কোথায় পাবেন: কেরালা-১ শিমের জাতটি অনলাইনে পেতে কেরালা ১ শিম যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *