নিউজ ডেষ্ক- নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের চাষিরা লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন। এই উপজেলার মাটি লাউ চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে ফলন। লাউয়ের চাষ পদ্ধতি সহজ ও অল্প খরচে বেশি লাভ করা যায় বলে চাষিরা লাউ চাষে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের প্রতিটি জমিতে সবুজ লাউয়ের লতাপাতায় ছেয়ে গেছে। সবুজ লতাপাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে শত শত লাউ। দেশি ও হাইব্রীড জাতের লাউয়ের চাষ করছেন চাষিরা। অল্প খরচে বেশি ফলন ও বাজারে লাউয়ের দাম ভালো পাওয়ায় এই এলাকার কৃষকরা লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
লাউ চাষি শনুরাম রায় বলেন, আমি ৪৫ শতাংশ জমিতে দেশি ও হাইব্রীড লাউয়ের চাষ করেছি। লাউ চাষে এ পর্যন্ত ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে আকারভেদে একটি লাউ ২৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রথমদিকে ১০০ লাউ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। চাষের খরচ বাদ দিয়ে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে লাউয়ের চাষ করবো।
একই এলাকার আরেক কৃষক ডালিম চন্দ্র বলেন, আমি কয়েক বছর যাবত লাউয়ে চাষ করছি। অল্প খরচে লাউয়ের ভালো ফলন পাওয়া যায়। আর বাজারে লাউয়ের কদরও বেশি। বাজারে ভালৈা দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। স্থানীয় বাজারে লাউয়ের চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এখানকার লাউ ব্যবসায়ীরা পরিবহন করে নিয়ে যায়।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নীলফামারী জেলার মাটি সব ধরনের সবজি চাষের জন্য উপযোগী। এবছর জেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষাবাদ হয়েছে। একই জমিতে তিনবার সবজি চাষ করা যায়। তাই কৃষকরা লাউয়ের পাশাপাশি অন্যান্য আরো সবজির চাষাবাদ করেন। এতে স্থানীয় পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে সবজি চলে যায় বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন সবজি চাষে পরামর্শ ও সহযোগীতা করছে।