নিউজ ডেস্কঃ বনগুড়ার স্বপ্ন সুপারশপের আউটলেটে ‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া’ আলমগীরের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
তবে তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী পদ দেবে স্বপ্ন সুপারশপ। এর আগে বেলা ১২টার দিকে আলমগীর কবির বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান।
সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা আলমগীরের সঙ্গে আলাপ করেন এসপি। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আলমগীরের ওই বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করার জন্য তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। কথা বলে মনে হয়েছে তাঁর চাকরি আসলেই প্রয়োজন। তাকে এও বলেছি, এমন করে বিজ্ঞাপন কেন দিতে গেলেন?’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাঁকে স্বপ্ন সুপারশপে চাকরির ব্যবস্থা করছি। তবে কোন পদে চাকরি হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তাঁর যোগ্যতা যাচাই করে পদ নির্ধারণ করা হবে। ‘
চাকরি পাওয়ার বিষয়ে আলমগীর জানান, আর্থিক অনটনের কারণে তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়া হচ্ছিল না। এ কারণে উপায় না দেখে সম্প্রতি তিনি আশ্রয় নেন ‘বিজ্ঞাপনের’।
দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই। ’ দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো সেই বিজ্ঞাপনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। এর পর থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে আলমগীর কবির নিজেই বিব্রত অবস্থায় পড়েন।
আলমগীর আরো জানান, ফেসবুকে ওই পোস্ট তিনি করেননি। কেউ একজন করেছেন। ৩২ বছর বয়সী আলমগীর কবির বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শরাইল গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তবে আলমগীর বগুড়া শহরের জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে থাকেন। বিজ্ঞাপনের ওই বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার জেলা পুলিশ তাঁর খোঁজ করে।
পুলিশ জানায়, মূলত মানবিক দিক বিবেচনায় আলমগীরের খোঁজ করা হয়।