নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। মেহেদি হাসান মিরাজদের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব আল হাসানের বরিশাল।
আসরের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। প্রথম ৭ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে উইল জ্যাকসের ব্যাটে। ব্যর্থ ছিলেন আফিফ হোসেন, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজরা।
তবে চট্টগ্রামকে মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন বেনি হাওয়েল। ইংলিশ অলরাউন্ডারের ২০ বলের ৪১ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ১২৫ রান স্কোরবোর্ডে তোলে চট্টগ্রাম। ৩২ রান খরচায় বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই বিপদে পড়ে বরিশাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর তিনে নামা সাকিব ইনিংস গড়ার কাজে নামেন আরেক ওপেনার সৈকত আলীকে নিয়ে। তবে এখানেও বাগড়া মিরাজের। ১৩ করা সাকিবকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন এই অফস্পিনার।
সাকিব ফিরলেও তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন সৈকত। এই দুজনের ৩০ রানের জুটি ভাঙে দ্বাদশ ওভারে। যখন মুকিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ আউট হন ১৬ করা হৃদয়। তবে একপ্রান্ত আগলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন সৈকত।
৩৫ বলে ৩৯ করা সৈকতই বরিশালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যদিও এই ব্যাটারকেও ফেরান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মিরাজ। এরপরই হঠাৎ ঝড়ের মুখে পড়ে বরিশাল। দলীয় ৯২ রানে সৈকতসহ তিন উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। তবে এই ঝড় চট্টগ্রামের দিকে ম্যাচের লাগাম ঘোরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
অভিজ্ঞ ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জুটি সহজ জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় সাকিবের দলকে। ব্রাভো ১২ আর জিয়া অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ১৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মিরাজ।