গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বেগুন গাছে টমেটো চাষ, ফলনে খুশি মেহেরপুরের চাষিরা!

কৃষি ও প্রকৃতি breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- মেহেরপুর জেলা সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বেগুনগাছে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার আশা দেখছেন তিনি।

কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগীতায় পরীক্ষামলূক ভাবে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন কৃষক ফারুক। গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে আশার আলো দেখছেন এ জেলার কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষক ফারুক হোসেন তার ৫ কাঠা জমিতে বারি হাইব্রিড ৮ জাতের টমেটো চাষ করেছেন গ্রাফটিং পদ্ধতিতে। নিয়মিত পরিচর্যা করায় এখন কাঁচা-পাকা টমেটোয় ভরে গেছে গাছ। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রিও করেছেন তিনি। আরও ৪০ হাজার টাকার বিক্রির আশা করছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করা ফারুক হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫ কাঠা জমিতে গ্রাফটিং করেছি। ফলন ও পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছি। আগামীতে আরও ১ বিঘা জমিতে টমোটো চাষ করার পরিকল্পনা করছি।

স্থানীয় কৃষকরা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ দেখতে আসছেন। অসময়ে টমেটো চাষ। বাজারে চাহিদাও বেশ। অনেক কৃষক ইতোমধ্যে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম দেখতে এসেছিলেন টমেটোর গ্রাফটিং।
তিনি বলেন, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা ছিলো না। এখন এ পদ্ধাতি দেখে আমারো চাষ করতে ইচ্ছা করছে। গাছে বেগুনও ধরছে আবার টমেটোও ধরছে। এমন দৃশ্য দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তাই আমার আগ্রহ আরো বাড়ে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বেগুন চারার গোড়ার দিকের অংশের সঙ্গে টমেটোর চারার ওপরের দিকের অংশ জোড়া দিয়ে করা হয় গ্রাফটিং। এতে ফলন মেলে প্রচুর। সাধারণ একটি গাছে ৫ থেকে ১০ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রাফটিং পদ্ধতিতে চাষ করায় প্রতিটি গাছে মেলে ১৫ থেকে ২০ কেজি টমেটো। গ্রাফটিং করা টমেটো গাছ পানি সহনীয়। ফলে ভারি বৃষ্টিতেও এই টমেটো গাছ নষ্ট হয় না।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভীন বলেন, সদর উপজেলায় ১৫ কাঠা জমিতে ৩ জন চাষি গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো জাত বারি-৮ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন কয়েকজন কৃষক। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *