নিউজ ডেষ্ক- কচুর লতি উৎপাদন ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার বরুড়া উপজেলার কৃষকরা। জেলার আবহাওয়া লতি চাষে বেশ উপযোগী বলে লতি চাষে ঝুকে পড়ছে কৃষকরা। কুমিল্লার লতি দেশের সীমানা পেড়িয়ে রফতানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, ইতালি, ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুমিল্লায় লতি চাষ হয়েছে ৩০০ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে বরুড়ায় লতি চাষ হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমিতে। গড়ে প্রতি হেক্টর জমিতে লতি উৎপাদন হয় ২৫ মেক্টিক টন, সে হিসেবে ৩০০ হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে ৭,৫০০ মেট্রিক টন লতি। বছরে ৭ থেকে ৮ মাসে লতি তোলা যায়।
চাষি আলী মিয়া বলেন, লতি চাষ করছি অনেক দিন ধরে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগের পরামর্শের লতি চাষের পরিমাণ রেড়েছে। দেখা যায় ধান চাষ করে মৌসুম শেষে টাকা পায়। কিন্তু লতি চাষে প্রতি সপ্তাহে টাকা পাওয়া যাচ্ছে।
পাইকারি লতি ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, তারা কয়েক জন মিলে এলাকা বিভিন্ন স্থান থেকে লতি সংগ্রহ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। প্রতি কেজি লতিরাজ লতি গড়ে ৩২ টাকা ও নিউটন লতি গড়ে ৪০ টাকা করে সংগ্রহ করেছেন।
বরুড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বরুড়ায় এইবার লতির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া বরুড়ার লতির সুনাম দেশজুড়ে। এ অঞ্চলে দিন দিন লতি চাষ বাড়ছে। এখানে একটি লতি প্রসেসিং সেন্টারের দাবি কৃষকদের। এ বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লার কচুর লতি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রসেসিং হয়। একটি লতি প্রসেসিং সেন্টারের বিষয়টি নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।