শেখ হাসিনার দয়ায় জেলখানার পরিবর্তে বাসায় খালেদা জিয়া: হানিফ আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলখানার পরিবর্তে বাসায় আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৭ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, তিনি কথায় কথায় গণতন্ত্রের ছবক দেন। আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অজস্র হত্যাকাণ্ডের দায় আপনাদের ঘাড়ে আছে। আহসানউল্লাহ মাস্টারের রক্তে আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া ও আপনার নেতা তারেক রহমানের হাত রঞ্জিত আছে। এখান থেকে কোনো দিন মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার এ বাংলার মাটিতে হয়েছে এবং আরও হবে।
১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
তিনি আরও বলেন, আয়নায় নিজের (ফখরুল) চেহারা দেখুন। খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও এতিমের টাকা আত্মসাতের জন্য কারাগারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদন্যতা ও দয়ায় জেলখানার পরিবর্তে বাসায় আছেন। তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বিদেশে পলাতক। যে দলের দুই শীর্ষ নেতা কারাগারে ও বিদেশে পলাতক তাদের মুখে আইনের কথা, দুর্নীতি ও গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
হানিফ বলেন বলেন, বিএনপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করে আমাদের এ দেশের এলিট ফোর্স র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। মির্জা ফখরুলরা লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে টাকা খরচ করে এ ব্যবস্থা করিয়েছেন। আপনার নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। সেটার জন্য আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত।
আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সংসদ সদস্য প্রফেসর রুমানা আলী টুসি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, সাবেক সচিব ও জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি এমএম নিয়াজ উদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামিল হাসান দুর্জয়।