বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টা দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর এসব বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তিন বছর ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মূলত এরপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা আগেও বলেছি, তাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করতেই বন্দী করেছে বর্তমান সরকার। আর এর প্রমাণ হলো, তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’
রিজভী আরও বলেন, “আমরা অনেক আগ থেকেই বলে আসছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু বর্তমান সরকার নানা অজুহাত দেখিয়ে তার মুক্তির বিষয়টি বিলম্বিত করছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে যখন বন্দী ছিলেন, তখন তিনি নিজেও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে অন্ধকার গুহা থেকে মুক্ত করেছেন। অথচ তাকে আজ ভয়ংকর পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”
খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে ইতিমধ্যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। আর এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় ছাড়াও অন্যান্যরা।
উল্লেখ, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। নানা জটিলতার মধ্যে এ মুহূর্তে লিভারের সমস্যাই সবচেয়ে প্রকট। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে কোনো ‘অ্যাডভান্স সেন্টারে’ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এখানকার হাসপাতালগুলো যথেষ্ট যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ নয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা জার্মানির কোনো হাসপাতাল হতে পারে।