রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন বলে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়ানোর আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব ।
এসময় ফখরুল বলেন, “বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন রকম অসুখে আক্রান্ত। এই অসুখ এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে, তাকে বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাটা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী। ডাক্তাররা জানে, তাকে বিদেশে পাঠালে তিনি সুস্ হয়ে উঠবেন।”
ফখরুল আরও বলেন, “এভারকেয়ার সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতাল। কিন্তু এখানে যে ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে তা যথেষ্ট না এই অসুখ সারিয়ে তুলতে। এখন নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসাটা প্রয়োজন। আর একথা বারবার বলার পরও আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেত্রী তা গ্রহণ করছেন না।’
ফখরুল বলেন, “আমরা আবারও বলছি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হোক। এর সাথে রাজনীতিকে নিয়ে আসবেন না”
তিনি আরও বলেন, “ বিএনপি নেত্রীকে অপমান করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অপমান করা। কেননা ১৯৭১ সালে তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য তার সারাটা জীবন পার করে দিয়েছেন। যিনি একজন গৃহবধূ ছিলেন, শুধু জনগণের অধিকার আদায়ের করার জন্য তিনি রাস্তায় নেমে পড়েন। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আজকে আটকে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দীর্ঘ আড়াই বছর তিনি নির্জন কারাবাসে ছিলেন। যার ফলে অনেকগুলো ব্যাধি তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। সেখানে কোনো চিকিৎসার সুযোগ ছিল না। সে চিকিৎসা না দেওয়ার ফলে আজকে তার অনেক রোগ দেখা দিয়েছে।’