সাজাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বিদেশ যাত্রার ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের কাছে ‘আদালত অসহায়’ বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই দেশ ছেড়েছেন। নির্বিঘ্নে তার বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে আদালত অসহায়।’
বুধবার (৪ মে) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘র্যাব-পুলিশ যেভাবে বিরোধী দল-মতের মানুষের পেছনে লেগে আছে, দৃশ্যত আদালতের ভূমিকাও প্রায় একই ধরনের। নিশিরাতের মাফিয়া সরকার দেশের আইন-আদালত-বিচার-প্রশাসন সব কিছু দলীয়করণের ঘন-কালো আলখেল্লায় ঢেকে দিয়েছে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের দেওয়া ‘দণ্ডিত আসামির দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই’ বক্তব্য তুলে ধরে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘হাজী সেলিমের সেই সুযোগ কীভাবে হলো?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইন যদি সবার জন্য সমান হয়, তাহলে কোন আইনে সাজাপ্রাপ্ত হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন? এখানে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এক আইন, আর হাজী সেলিমের জন্য অন্য আইন কোন সংবিধানে, কোন গ্রন্থে আছে? আহারে আইনের শাসন!’
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গিয়েছেন। সোমবার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
কুমিল্লায় ঈদের জামাতে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ঈদের জামাতে ক্ষমতাসীন দলের অনুসারী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোস্তাক মিয়া ভুঁইয়ার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, আবদুস সালাম আজাদ, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।