নিউজ ডেষ্ক- জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রায় সকল খাদ্যপণ্যের দাম। শুধু জ্বালানি তেলের প্রভাবই নয় কয়েক দিন ধরে ডলারের দামও বেড়েই চলেছে, ফলে সেটির প্রভাবও দেখা দিয়েছে বাজারে।
জ্বালানির দাম বাড়ার পর বড় ধাক্কা আসে নিত্যপণ্যের বাজারে। প্রথম ধাক্কা আসে সবজিতে। এক দিনের ব্যবধানে সব সবজির কেজিতে দাম বেড়ে যায় ১০ থেকে ২০ টাকা।
এর দু-তিন দিন পর চাল, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ কয়েকটি খাদ্যপণ্যের দাম আরেক দফা বেড়ে যায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা, আর চিকন চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে চালের দাম বাড়াতে হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন- মিলাররাই চাল মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করছেন। আর তাতেই দাম বাড়ছে।
শনিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে সবচেয়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি মানের মোটা পাইজাম কিংবা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগের দিনও এই চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬-৪৮ টাকা ও ৫২ টাকা কেজিতে। বিআর ২৮ ও ২৯ জাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৪ এবং নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিআর-২৮ জাতীয় চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৬৮ থেকে ৭২ এবং নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এসব চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা করে। এ ছাড়া সব ধরনের পোলাও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের চাটখিল রাইস এজেন্সির কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, লোডশেডিং ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চাল উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি যাতায়ত ভাড়া বেড়েছে। এ কারণে এখন চালের দাম বাড়ছে। মিলাররা চালের দাম বাড়িয়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।