‘কার্যালয় ঘেরাও করতে আসলে বিএনপিকে চা খাওয়াব’

রাজনীতি led

নিউজ ডেষ্ক- আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমিতো বলে দিয়েছি- তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়। বিশেষ করে বাংলামটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনবো। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তবে যদি বোমাবাজি ও ভাঙচুর করে, সেটা করলে বাধা দিবো এবং উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো বাধা নেই। সেটাতো করেই যাচ্ছে।

শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগ সবসময় মানবতার সেবা করে আসছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু লোক আছে সারাক্ষণ দোষ ধরা, আর খুত ধরা চেষ্টায় থাকে। আমরা বিদ্যুতের লোডশেডিং দিচ্ছি কারণ ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে। এলএনজির দামসহ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। যে জার্মানি সুর তুলেছিলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। তারা কিন্তু আবার সেটাতেই ফেরত গেছে।

খাদ্য সরবারহ পুনরায় চালু করতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি করায় জাতিসংঘের মহাসচিব ও তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তাদের উদ্যোগের ফলে, বিশেষ করে জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্যোগের ফলে এখন ইউক্রেন এবং রাশিয়া একটি চুক্তি করেছে সার, খাদ্যদ্রব্য এগুলো যেতে দেবে। কৃষ্ণ সাগরে যে বন্দর বন্ধ রয়েছে, সেটাতে চলাচলের সুযোগ করে দিবে। খাদ্য দ্রব্য এখন আনা যাবে, কেনা যাবে। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য স্বস্তিকর বিষয়। এর মাধ্যমে খাদ্যের অভাব থাকবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়, মানুষ ভালো থাকে। দুর্যোগ, দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে।’

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম, এবিএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *