নিউজ ডেষ্ক- চলতি বছরের আগামী ২২ নভেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রীড়া দুনিয়ার সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আসর। সময়ে হিসেবে তা হতে বাকি আর মাত্র ৫১ দিন। এদিকে, কারা জিতবে এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা, তা নিয়ে এরই মধ্যে শোরগোল বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার গবেষণা, ভবিষ্যদ্বাণী ভক্তদের মাঝে যেন ঘি ঢালছে।
এদিকে কাতার বিশ্বকাপে হট ফেভারিটের তালিকায় আছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। কাপ্তান লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ হওয়ায় সমর্থকরাও বেশ আশায় আছেন, শেষ আসরে খেলতে নেমে বিশ্বমঞ্চের শিরোপা খরা কাটাতে পারবেন ফুটবল জাদুকর। আলবিসেলেস্তে সমর্থকদের এমন আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে কোপা আমেরিকা এবং ফিনালিসিমার শিরোপা জয়।
এছাড়া, লিওনেল স্কালোনির অধীনে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে অজেয় থাকাটাও আকাশী-নীল দলের সমর্থকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সবশেষ টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকা বাড়তি প্রেরণা দিচ্ছে লাতিন আমেরিকার সেরাদের। অবশ্য, অপ্রতিরোধ্য আর্জেন্টিনার এবার বিশ্ব জয়েরও বেশকিছু আলামত দেখা মিলিছে।
যার মধ্যে একটি আলামত আবার দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে ঘিরে। যে আলামত দুইয়ে দুইয়ে মিলে গেলে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতা স্বাদও পেতে পারে আলবিসেলেস্তেরা। স্বদেশি ক্লাব গ্রেমিওতে ঝলক দেখিয়েই ২০০১ সালে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী মিডফিল্ডার রোনালদিনিয়ো। প্যারিসে আসাটা সৌভাগ্যই বয়ে এনেছিলো দিনহোর জন্য।
কেননা, পরের বছরই ২০০২ সালে জাপানে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। জার্মানিকে হারিয়ে ব্রাজিলের পঞ্চম বিশ্বকাপ জেতা দলের গর্বিত সদস্য হয়েছিলেন তিনি। রোনালদিনিয়োর মতো একই কান্ড ঘটিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্বদেশী ক্লাব মোনাকোতে সাড়া ফেলে দিয়ে ২০১৭ সালে পিএসজি যোগ দেন তিনি।
মজার বিষয়, পরের বছর মাত্র উনিশ বছর বয়সে তিনিও বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পান। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে কাদিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে এমবাপ্পেরা। রোনালদিনিয়োর পথে এমবাপ্পের মতোই অঙ্ক মেলানো সুযোগ এসে গেছে লিওনেল মেসির সামনে। ২০২১ সালে চোখের জ্বলে শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনাকে বিদায় বলে পিএসজিতে যোগ দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
এদিকে রোনালদিনিয়ো ও এমবাপ্পের মতো প্যারিসে আসার সৌভাগ্য যদি এবার মেসির কপালেও জুটে, তাহলে ১৯৮৬ সালের পর ফের বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে মেতে উঠতে পারে আর্জেন্টিনাও। অন্তত দিনহো এমবাপ্পেদের আলামত তো সেটাই বলছে!