নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সময় মুখের হিজাব খুলতে বলায় আসামীর কাঠগড়া থেকে মামুনুল হক হুঙ্কার দিয়ে বলেন, শরীয়তের হুকুম হিজাব খোলবানা ঝর্না।
এতে ঝর্না একবার হিজাব খুলে বিচারককে মুখ দেখিয়ে ফের হিজাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহীন উদ্দিনের আদালতে তাদেরকে মুখোমুখি করানো হয়।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রকিবুদ্দিন আহমেদ বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা আদালতে উপস্থিত রয়েছেন। বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা আপাতত আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।
আর অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেসবাহ ও একেএম ওমর ফারুক নয়ন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নিয়ে আসা হয় মামুনুলকে। এর কিছুক্ষণ পরই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবারও কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে মামুনুলকে।
চলতি মাসের ৩ তারিখ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করেন। আর তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে সেখান থেকে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক একটি মামলা দায়ের করেন। তার কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা দায়ের করেন। ৬টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।