নিউজ ডেষ্ক- খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা খাতুনের (৫৫) লাশ পেয়েছেন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৩ মিটিটের রহিমা খাতুনের মেয়ে (মরিয়ম মান্নান) ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল:
আর কারো কাছে আমি যাবো নাহ! কেউকে আর বলবো নাহ আমার মা কোথায়! কেউকে বলবো নাহ আমাকে একটু সহোযোগিতা করুন! কেউকে বলবো নাহ আমার মাকে একটু খুঁজে দিবেন!কে উকে আর বিরক্ত করবো নাহ! আমি আমার মা’কে পেয়ে গেছি!
এর আগে মায়ের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেছিলেন, গত ২৭শে আগস্ট রাত থেকে আমার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঐ দিন রাত ১০টায় বা তার একটু পরে আমার মা বাসার নিচে পানির টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে মা ফিরে আসে না। এরপর মাকে খোঁজা শুরু করে সবাই। মায়ের পায়ের জুতা, গায়ের ওড়না, পানির পাত্র পড়ে ছিল কিন্তু সেখানে আমার মা ছিল না। আমরা ধারণা করছি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আমার মাকে অপহরণ করা হতে পারে।
আমার মা রহিমা বেগম ও তার দ্বিতীয় স্বামী মো. বিল্লাল হাওলাদারকে নিয়ে তাদের খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ি হোল্ডিং নং-৩৫ এর দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। আমরা ছয় ভাইবোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরেরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৫।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে রিমান্ডে এনেছে। নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, এক বছর পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা। এর আগে, এ ঘটনায় করা মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।