নিউজ ডেষ্ক- কাঁঠালের রাজধানী বলা হয় গাজীপুরকে। স্বাদ, মিষ্ট, ঘ্রাণ ও আকারের দিক থেকে এই জেলার কাঁঠালের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। ধানের পর এই জেলার প্রথান অর্থকরী ফসল হলো কাঁঠাল। কাঁঠাল বিক্রির সর্ববৃহৎ হাট শ্রীপুরের জৈনা বাজারে জমে উঠেছে বেচাকেনা।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর গড়ে ৭৮ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন হয়। জেলায় খাজা, গালা ও দুসরা জাতের কাঁঠাল বেশি উৎপাদন হয়। এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ‘খাজা’ জাতের কাঁঠাল রপ্তানি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁঠালের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার বসেছে শ্রীপুরের জৈনা হাটে। বাজারে আড়তদারের কাছ থেকে পাইকারি দরে কাঁঠাল কিনে সেগুলো ট্রাকে তুলছেন ক্রেতারা। অপর দিকে সড়কের পাশে শত শত ভ্যানগাড়িতে কাঁঠাল ভর্তি করে বিক্রির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। একেকটি ভ্যানগাড়িতে মাঝারি আকারের ২০ থেকে ৫০টি কাঁঠাল ধরে। প্রতি কাঁঠাল লেভার খরচসহ ৭ টাকা নেয় ইজারাদার।
নোয়াখালী থেকে কাঁঠাল কিনতে আসা আতিকুল্লাহ বলেন, ৪০ বছর ধরে এই হাট থেকে কাঁঠাল নিচ্ছি আমি। গাজীপুরের কাঁঠাল বেশি সুস্বাদু এবং চাহিদা বেশি। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের হাট। এখানে কাঁঠালের দামও কম কিন্তু খাজনা, লেভার ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে দাম বেড়ে যায়।
লক্ষীপুর থেকে কাঁঠাল কিনতে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২ দিন আসি কাঁঠাল কিনতে। এখানকার কাঁঠাল সবচেয়ে ভালো, চাহিদাও বেশি। ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ পিচ কাঁঠাল কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাই। এখান কাঁঠালের সাইজ অনুযায়ী দাম ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
জৈনা বাজারের পুরাতন আড়তদার ইসলাম উদ্দীন মেম্বার বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে এখানে আড়তদারি করি। নোয়াখালী, চিটাগাং, ফেনি, চাঁদপুর, সিলেট, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁঠালের জন্য পাইকাররা আসেন। কম দামে ভালো মানের কাঁঠাল পাওয়া যায় এই ঐতিহ্যবাহী হাটে।